নাবালক শ্রমিক পাচারের চক্র

ব্যুরো নিউজ ১৩ নভেম্বর : ভিনরাজ্যে নাবালক শ্রমিক পৌঁছে দেওয়ার বিনিময়ে কমিশন পেতো দালালেরা। আর সেই লোভেই বাংলা ও বিহার থেকে বেঙ্গালুরুতে নাবালক শ্রমিক পাচারের চেষ্টায় ছিল দুই পাচারকারী। মঙ্গলবার ভোররাতে সাঁইথিয়া জিআরপি হাতে ধরা পড়ে তাদের চক্রান্ত। পাচারের সময় তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ১০ জন নাবালককে। উদ্ধার হওয়া নাবালকদের জেলা শিশু সুরক্ষা দপ্তরের মাধ্যমে বহরমপুরের হোমে পাঠানো হয়েছে। ধৃত দুই পাচারকারীকে রামপুরহাট আদালতে পেশ করে সাত দিনের পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

সন্ধ্যয় বাড়িতে বানিয়ে ফেলুন সুস্বাদু রেসিপি চিলি গার্লিক পরোটা

অভিযান চালিয়ে নাবালকদের উদ্ধার করা হয়

ধৃতরা হলো বিহারের সঞ্জয় কুমার ও মালদহের মহম্মদ আবদুল্লা। বিহারের চম্পারণ জেলার মধুবনি ও রেজপুর থানার এলাকা থেকে মোট ছয়জন এবং মালদহ থেকে চারজন নাবালক নিয়ে বেঙ্গালুরুর উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিল তারা। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ‘বচপন বাঁচাও’ কমিটি মালদহের আরপিএফ সন্তোষ কুমারের সঙ্গে যোগাযোগ করে এবং নির্দিষ্ট কামরা ও নাবালকদের ঠিকানা দেয়। এর ভিত্তিতে রামপুরহাটে ট্রেন থামতেই জিআরপি অভিযান চালিয়ে নাবালকদের উদ্ধার করে এবং দুই পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করে।

ভারত-চিনা সেনার যৌথ টহলঃ লাদাখে শান্তি প্রতিষ্ঠার নতুন উদ্যোগ

ধৃতরা জানিয়েছে এই নাবালক শ্রমিকদের পাচারের বিনিময়ে প্রতি মাসে মাথাপিছু ৬০০ টাকা কমিশন পেত সঞ্জয় আর আবদুল্লা পেত ৫০০ টাকা। আগেও তারা একাধিকবার এভাবে শিশুদের পাচার করেছে। রামপুরহাট আদালতে সহকারী সরকারি আইনজীবী আলি ওহাইদুর জামান জানান মানব পাচার ও শিশু সুরক্ষা আইনে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে সাঁইথিয়া থানার জিআরপি। অভিযোগকারী সন্তোষ কুমারের অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের সাত দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

 

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর