ব্যুরো নিউজ,৫ সেপ্টেম্বর: ৪ঠা সেপ্টেম্বর আরো একটি “রাত দখল” দেখল সারা রাজ্যবাসি। প্রসঙ্গত ১৪ই আগস্ট অর্থাৎ স্বাধীনতা দিবসের আগের দিনও এইরকমই “রাত দখল” দেখেছিল গোটা রাজ্যবাসী।৫ই সেপ্টেম্বর আরজি কর কান্ড নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলার শুনানি ছিল। আরজি কর কাণ্ডে সমস্ত প্রতিবাদী নাগরিক বৃন্দ ভীষণ আশা নিয়ে রাত দখলের লড়াইতে নেমেছিল যাতে আজ সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণে উঠে আসে এক আশা ব্যাঞ্জক দিক ।
শিক্ষক দিবসের দিনেই নাবালিকা ছাত্রী ‘শ্লীলতাহানি’ অভিযোগে গ্রেফতার করা হল পিন্সিপাল
কি কারন জানালো সুপ্রিম কোর্ট?
কিন্তু হঠাৎ করে সন্ধ্যা বেলা জানতে পারা গেল যে ৫ই সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টে মাননীয় প্রধান বিচারপতি ধনঞ্জয় জসবন্ত চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চে মামলার শুনানি হবে না। কারণ হিসেবে জানা গেছে মাননীয় প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় বৃহস্পতিবার আদালতে আসবেন না। হঠাৎ করে এই খবরে গোটা কলকাতা বাসি থেকে শুরু করে রাজ্যবাসী আশাহত হয়েছেন। তাতে অবশ্য আন্দোলনের দৃঢ়তা একটুও কমেনি বরং চোয়াল শক্ত করে প্রতিবাদীরা জানিয়েছেন যতদিন না পর্যন্ত আরজি কর কাণ্ডের দোষীদের ধরা হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত তারা এই আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।
চলতি বছরেই সন্দীপ ঘোষ কে টালা থানা থেকে কিভাবে ক্লিনচিট দেওয়া হল এই নিয়ে উঠলো প্রশ্ন
৪ সেপ্টেম্বর রাত নটা থেকে দশটা পর্যন্ত কলকাতা অন্ধকার ছিল। আপামোর জনতা মোমবাতি জ্বালিয়ে প্রতিবাদে নেমেছিল। তারা এই আশা নিয়েই কলকাতার বুকে নেমেছিল যাতে আজ সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর কাণ্ডের শুনানি হয়। কিন্তু কি এমন ঘটল যার জন্য আদালতেই বসবেন না প্রধান বিচারপতি? সুপ্রিম কোর্ট সূত্রে জানা গিয়েছে যে মাননীয় প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় অসুস্থ তাই আদালতে হাজির হতে পারবেন না।অনুপস্থিতির অন্য কোন কারন আছে কিনা সেটা অবশ্য অজানা। প্রসঙ্গত চলতি সপ্তাহের সোম থেকে বুধবার পর্যন্ত বিচারপতি আদালতে বসতে পারেননি। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির অনুপস্থিতির কারণে পিছিয়ে গেল আরজিকর কান্ডের শুনানি। ফলে শুনানির জন্য আরো কতদিন অপেক্ষা করতে হবে এটাই প্রশ্ন এখন রাজ্যবাসীর মনে।
