চাংথাং উপত্যকা

ব্যুরো নিউজ, ২৩ নভেম্বর : লাদাখের পরিচিতি আজকাল অনেকেরই জানা। তবে লাদাখের একটা অন্য রূপ রয়েছে যা বেশিরভাগ মানুষই দেখেননি। “চাংথাং” উপত্যকা যেখানে পর্যটকের আনাগোনা অনেক কম। না আছে বলিউডের প্রভাব না নেট দুনিয়ায় কোনো তোলপাড়। এখানে এখনও প্রকৃত লাদাখি জীবন যাপন করে চাংপা যাযাবররা। যাদের জীবন তিব্বতী ভূমির মতোই অনিন্দ্য সুন্দর ও শান্ত।গত কয়েক দশকে লাদাখ অনেক বদলে গেছে। দুই দশক আগেও লেহ শহরে পৌঁছানো এক ভিন্ন অভিজ্ঞতা ছিল। তখন শহরের প্রায় সব বাড়ি ছিল পাথর ও মাটির তৈরি আর শহরের মধ্যে সেনাছাউনি চোখে পড়ত না। সেই সময় লেহ ছিল এক শান্ত শহর যেখানে স্থানীয় লাদাখি পোশাকে মানুষদের বিচরণ ছিল। তবে এখন লেহ এক জমজমাট শহর যেখানে বিদেশি পর্যটক ও হোটেল রেস্তোরাঁর ছড়াছড়ি।

কবে হবে অষ্টম বেতন কমিশন? জানুয়ারি থেকে বাড়তে পারে মহার্ঘ ভাতা!

কি ভাবে যাবেন চাংপা যাযাবরদের গ্রামে ?

যদি আপনি লাদাখের তিব্বতি আভা খুঁজে চান তবে লেহ শহর থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। সেখান থেকে সো মোরিরি হ্রদের দিকে যাওয়ার পথগুলোর মধ্যে একটি পথ চাংথাং উপত্যকার মধ্য দিয়ে গিয়েছে। এই পথে চলতে চলতে আপনি পৌঁছাতে পারবেন চাংপা যাযাবরদের গ্রামে। যেখানে তাদের জীবনযাপন দেখলে আপনিও বিস্মিত হবেন।চাংথাং উপত্যকায় পৌঁছতে হলে আপনাকে সকাল থেকে রওনা হতে হবে এবং বিকেল পর্যন্ত চাংপাদের এলাকায় পৌঁছাতে হবে। চাংপা যাযাবরদের মতো পোশাক, ভবঘুরে জীবন এবং তাদের মুখে অনবদ্য হাসি আপনাকে এক অন্য পৃথিবীতে নিয়ে যাবে। চাংপাদের সাথে কিছু সময় কাটালে, তারা আপনাকে তাদের তাঁবুতে থাকার ব্যবস্থা করে দেবে এবং স্থানীয় খাবারের স্বাদও নিতে পারবেন।

রাতের খাবারে কী না খেলে ওজন বাড়বে না?

চাংপা যাযাবরদের জীবনযাত্রা

এদের জীবনযাত্রা খুবই আকর্ষণীয়। এক সময় লাদাখ থেকে তিব্বতের লাসা যাওয়ার পথে চাংপা যাযাবররা যাতায়াত করতেন। কিন্তু আজকাল সীমান্তে কাঁটাতারের কারণে সেই পথ বন্ধ হয়ে গেছে। তারা এখনও মরুভূমির মাঝেই বসবাস করছেন যেখানে আধুনিকতা খুব একটা প্রবাহিত হয়নি। তাদের ভাষাও অন্য স্থানীয় লাদাখি ভাষার পরিবর্তে তারা কথা বলেন চাংসখাট ভাষায় যা তিব্বতি ভাষার একটি ডায়ালেক্ট।চাংথাং উপত্যকার বাসিন্দাদের মধ্যে কিছু পরিবার এখন আর পশুপালন করেন না। তারা লাতো গ্রামে স্থায়ী বাসিন্দা হয়েছেন এবং সেখানে চাষবাস করেন। তবে যেসব চাংপা এখনও ঘুরে বেড়ান তারা নিজেদের “ফালপা” বলে পরিচয় দেন। এদের প্রধান জীবিকা হলো ভেড়া পালন তবে তাদের ভেড়ার মাংস তারা খান না শুধুমাত্র পশম সংগ্রহ করেন।এই অঞ্চলের একটি বিশেষ আকর্ষণ হলো তাদের তৈরি চিজ, যা চমরী গাইয়ের দুধ থেকে তৈরি করা হয়। শুধু চাংপা বা ফালপা-রাই এই চিজ বানান, আর এটি একে অন্যের জন্যে বেশ জনপ্রিয়।

রাতে যখন আপনি তাদের “রেবো” (পশম দিয়ে তৈরি তাঁবু) মধ্যে ঢোকেন তখন আকাশের দিকে তাকিয়ে আপনি এমন একটি দৃশ্য দেখতে পাবেন যা আপনাকে মুগ্ধ করে তুলবে। পরিষ্কার আকাশের নিচে ঠান্ডা বালির উপর তাঁদের জীবনযাপন দেখে আপনি উপলব্ধি করবেন কেন চাংপা জনগণ আজও এই কঠিন পরিবেশে বসবাস করতে পছন্দ করে।

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর