shopping

ব্যুরো নিউজ, ৯ এপ্রিল: চৈত্র মাস, বাংলা নতুন বছরের আগের সময়, বাঙালি জীবনে এক বিশেষ জায়গা দখল করে আছে। এই সময় আসলেই বাজারে সেল-সেলের রমরমা শুরু হয়। গড়িয়াহাট, হাতিবাগান, শ্যামবাজার থেকে শুরু করে শহরের ছোট-বড় দোকান, ফুটপাথ—সব জায়গাতেই এই বিশেষ সেলের হিড়িক। সেল কি শুধুমাত্র পুরনো স্টকের clearance? নাকি এর মধ্যে আরও কিছু রহস্য রয়েছে? আসুন, একবার দেখে আসি কেন এই সেল বাংলায় এতো জনপ্রিয়।

শনির ক্রোধ থেকে বাঁচার উপায় জানেন?  মহাদেব, হনুমান ও পিপল মুনির পুজোই কিন্তু সমাধান

চৈত্র সেল: কেনাকাটার এক বিশেষ সময়

চৈত্র সেলের বিশেষত্ব এক কথায় বোঝানো কঠিন। সেল মানে সাধারণত কিছু কম দামে পাওয়া যায়, তবে এই সময়ের সেলের মধ্যে বিশেষ ধরনের মেলা-মার্কা একটি পরিবেশ রয়েছে। বাজারে যখন পুরনো স্টক সাফ করার হিড়িক থাকে, তখনই সেই সব পণ্য সেল হিসেবে বিক্রি হয়। চৈত্রের এই সেল যে শুধুমাত্র দোকানে বা ফুটপাতে চলে, তা নয়। আজকাল অনলাইনেও চৈত্র সেলের দাপট রয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন হল, কি কারণে এমন সময়ে সেল হয়? বিশেষ করে, এই সময় কেন বাঙালি এত উৎসাহ নিয়ে কেনাকাটা করেন? ফুটপাতে দোকান বসানো বিক্রেতারা অনেক সময় বলেন, এই সময় তারা নতুন পণ্য বিক্রি করেন, তবে সেগুলোর দাম কিছুটা কম থাকে। বছরে অন্য সময় যখন বাজারে তেমন হইচই থাকে না, তখন তারা এই সময় নিজের ব্যবসা চালিয়ে যাওয়ার জন্য কিছুটা কম দামে পণ্য বিক্রি করেন। আবার, বড় বিপণিতে সেল চলাকালীন অনেকেই বলেন, পুরনো স্টকই তাদের সেলের পণ্য। তবে এই সেল কি শুধুমাত্র পুরনো স্টকের clearance বা কিছু নতুন পণ্য কিনে সস্তায় পাওয়া? নাকি এর পিছনে আরও কিছু আছে?

আইএসএল ফাইনাল: মোহনবাগান বনাম বেঙ্গালুরু এফসি, কে হাসবে শেষ হাসি?

চৈত্র সেল বাঙালি সংস্কৃতির একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে। গৃহিণী থেকে শুরু করে যুবক-যুবতীরা, সবাই এই সময় কেনাকাটায় মত্ত হন। অনেকে বলেন, চৈত্র সেলের মাধ্যমে পুজোর সময়ের জন্য কেনাকাটা করে রাখা হয়। কিছু জিনিস এমনিতেও এই সময় কম দামে পাওয়া যায়। আর সেটা হলে, কেন পুজোর সময় অতিরিক্ত খরচ হবে? আবার, অনেকে বিশ্বাস করেন, চৈত্র সেল একটা সামাজিক আয়োজনের মতো, যেখানে শুধু পণ্য কেনার জন্যই নয়, একে অন্যের সঙ্গে সময় কাটানোরও একটি উপায়। তবে শুধু পণ্য নয়, অনেকে চৈত্র সেলের মাধ্যমে সমাজের নানান স্তরের মানুষের মধ্যে এক ধরনের সামাজিক সম্পর্কও গড়ে তোলেন। এই সময়ের চৈত্র সেল শুধু স্থানীয় দোকান বা বাজারের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। অনলাইন শপিং প্ল্যাটফর্মগুলোও চৈত্র মাসে প্রচুর ছাড় ও সেলে নানা পণ্য বিক্রি করতে থাকে। বিশেষ করে, নতুন বছরের আগের মুহূর্তে তাদের প্রডাক্টের দাম কমিয়ে দেওয়া হয়, যা বাঙালির কাছে অত্যন্ত আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে। কিন্তু শারীরিকভাবে দোকানে এসে কেনাকাটা করা যারা পছন্দ করেন, তাদের কাছে অফলাইনে চৈত্র সেল এখনও এক অনন্য অভিজ্ঞতা।

Today’s gold rate: দিনে দিনে সোনা রুপোর দাম মধ্যবিত্তের সাধ্যের বাইরে চলে যাচ্ছে,সেখান থেকে সামান্য স্বস্তি মঙ্গলবারে

অনলাইনে সেল চালানোর কারণে কি চৈত্র সেল কিছুটা কম গুরুত্ব পাচ্ছে? এই প্রশ্ন অনেকের মনে আসতেই পারে। তবে, এখনো অনেক বাঙালির কাছে চৈত্র সেলের তৃপ্তি অফলাইনে, ফুটপাতে ঘুরে ঘুরে কেনাকাটার আনন্দের সঙ্গে জড়িত। তাই, তারা বলছেন, অনলাইনে কিছু পাওয়া গেলেও, শহরের ফুটপাতে এসে চৈত্র সেলের সাথে সামিল হতে পারা এক আলাদা অভিজ্ঞতা। এভাবেই চৈত্র সেল বাংলার সংস্কৃতির সঙ্গে এক হয়ে গেছে। আবার, এর সাথে জড়িয়ে আছে বাঙালির এক পুণরায় কেনাকাটার উৎসব। তবে হোক অনলাইন বা অফলাইন, চৈত্র সেল এই বছরেও চলবে, এবং সেলপ্রেমী বাঙালির মনের মধ্যে জায়গা করে নেবে।

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর