পরীক্ষার হলে মোবাইল ব্যবহার করলে দুই বছরের পরীক্ষা

ব্যুরো নিউজ,২৮ জানুয়ারি :দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণির সিবিএসই বোর্ড পরীক্ষার জন্য নতুন এবং কড়া নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। এবার থেকে, যদি পরীক্ষার হলে কোনও পরীক্ষার্থী মোবাইল ফোন বা অন্য বৈদ্যুতিন যন্ত্র নিয়ে ধরা পড়ে, তবে তার ওই বছরের সমস্ত পরীক্ষা বাতিল করা হবে। শুধু তাই নয়, পরবর্তী বছরের পরীক্ষাতেও বসতে পারবে না সেই পরীক্ষার্থী। অর্থাৎ, তার দু’বছরের কঠোর পরিশ্রমের ফলাফল একেবারেই নষ্ট হতে পারে। সিবিএসই বোর্ডের অধীনে স্কুলগুলির প্রধানশিক্ষকেরা এই পদক্ষেপকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন, তবে রাজ্য বোর্ডের অধীনে থাকা কিছু শিক্ষকেরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, কারণ এটি পরীক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের উপর বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে।

প্রচুর সূর্যালোক তবু কেন ভারতীয়রা ভিটামিন ডি-এর অভাবে ভুগছেন? কীভাবে পূরণ করবেন এই ভিটামিন?

কঠোর পদক্ষেপ

সম্প্রতি সিবিএসই বোর্ড একটি নির্দেশিকা জারি করেছে, যেখানে পরীক্ষার সুষ্ঠুতা বজায় রাখার জন্য বেশ কিছু কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, পরীক্ষার হলে মোবাইল নিয়ে ধরা পড়লে ওই পরীক্ষার্থীকে শুধু ওই বছরের পরীক্ষা বাতিল করা হবে না, বরং পরের বছরের পরীক্ষাতেও তাকে বসতে দেওয়া হবে না। এছাড়া, পরীক্ষা কেন্দ্রে মোবাইল ফোন বা অন্য কোনো গুজব ছড়ানোর চেষ্টা করলে, তাদের ক্ষেত্রেও একই পদক্ষেপ নেওয়া হবে।এছাড়াও, সিবিএসই বোর্ডের তরফে জানানো হয়েছে, প্রতিটি পরীক্ষাকক্ষে সিসিটিভি ক্যামেরা থাকতে হবে এবং সিসিটিভি ফুটেজের উপর নজরদারি করবেন সহকারী সুপারিনটেনডেন্ট।

এর মাধ্যমে পরীক্ষা পরিচালনায় স্বচ্ছতা এবং সুষ্ঠুতা নিশ্চিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।এই নির্দেশিকা অনুসারে, সিবিএসই বোর্ডের অধীনে থাকা স্কুলগুলিকে পরীক্ষা সংক্রান্ত সব নিয়মকানুন পরীক্ষার্থী, তাদের অভিভাবক এবং শিক্ষকদের কাছে পরিষ্কারভাবে বোঝানোর জন্য বলা হয়েছে। পড়ুয়াদের বারবার সতর্ক করা হবে যেন তারা পরীক্ষার হলে মোবাইল ফোন নিয়ে প্রবেশ না করে।

পাত্রের বাবার সঙ্গে ভেগে গেল পাত্রীর মা , তারপর ঘটে গেল সেই অভাবনীয় ঘটনা

১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে সিবিএসই বোর্ডের দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। এবছর ৪৪ লক্ষ পড়ুয়া এই পরীক্ষায় অংশ নেবেন। দিল্লি পাবলিক স্কুল (ডিপিএস) ডোমজুড়ের প্রধানশিক্ষিকা সুনীতা অরোরা এই পদক্ষেপকে ইতিবাচক বলে মনে করছেন। তাঁর মতে, পরীক্ষার সময় অনৈতিকভাবে উত্তর লেখা সঠিক মেধা যাচাইকরণের পদ্ধতি বিঘ্নিত করতে পারে। সিবিএসই এই ধরনের কর্মকাণ্ড কখনো সমর্থন করে না, এবং দু’বছরের জন্য পরীক্ষা থেকে বিরত রাখার শাস্তি পরীক্ষার্থীদের এই ধরনের আচরণ থেকে বিরত রাখবে।একটি নাম করা গার্লস স্কুলের সহ-প্রধানশিক্ষিকা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তাঁর মতে, পরীক্ষার সময় পড়ুয়াদের উপর অত্যধিক চাপ সৃষ্টি করলে তা তাদের ভবিষ্যতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। তিনি বলেন, “দু’বছর পরীক্ষা থেকে বঞ্চিত হলে, পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ নষ্ট হতে পারে।”

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর