ব্যুরো নিউজ,৫ অক্টোবর:সিবিআইয়ের আইনজীবী অভিযোগ করেছেন যে আরজি কর হাসপাতালের ঘটনায় প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করা হয়েছিল। সন্দীপ ঘোষ এবং অভিজিৎ মণ্ডলের বিরুদ্ধে এই অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া গেছে। এই পরিস্থিতিতে সিবিআই ধৃতদের ১৪ দিন জেল হেফাজত রাখার আবেদন করেছে।প্রায় দুই মাস হয়ে গেল, সিবিআই এখনও আরজি কর কাণ্ডের তদন্তের কোনও স্পষ্টতা আনতে পারেনি। এদিকে, শিয়ালদা আদালতে গতকাল সিবিআই মামলার স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা করেছে। সিবিআই দাবি করেছে, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করার ঘটনা ঘটেছে।
জুনিয়র ডাক্তারদের হুঁশিয়ারিঃ “আমরণ অনশনের পথে যাচ্ছি!”
সন্দীপ ঘোষ এবং অভিজিৎ মণ্ডল
গতকাল আদালতে ভার্চুয়ালি হাজির করা হয় সন্দীপ ঘোষ এবং অভিজিৎ মণ্ডলকে। দুই ধৃতের আইনজীবীরা জামিনের আবেদন করেন, কিন্তু সিবিআই এই আবেদনের বিরোধিতা করে। সন্দীপ ঘোষের আইনজীবী আদালতে বলেন, “সিবিআই মনে করে যে আমাদের মক্কেলকে জামিন দেওয়া হবে না। কিন্তু প্রমাণ লোপাটের অভিযোগ জামিনযোগ্য।” তিনি আরও বলেন, “অভিজিতের বিরুদ্ধে যে অভিযোগগুলো সিবিআই এনেছে, সেগুলোও জামিনযোগ্য।”অন্যদিকে, অভিজিৎ মণ্ডল আদালতে নিজের বক্তব্যে বলেন, “সিবিআই প্রমাণ নষ্টের অভিযোগ করছে। তারা টালা থানা থেকে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছে। কিন্তু সেখানে সিসিটিভি নষ্টের অভিযোগ নেই।” অভিজিতের আইনজীবী অভিযোগ করেন যে রাজ্য সরকারের অনুমতি ছাড়া টালা থানার ওসিকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং এর ফলে অযথা তাকে আটক রাখা হয়েছে।
নারীশক্তির পূজায় সিয়াটেলে ঐক্যতান ক্লাব, দুর্গাপুজোর উচ্ছ্বাস
এদিকে, ৯ অগস্ট তরুণী চিকিৎসকের খুনের ঘটনায় সন্দীপ ঘোষ ও অভিজিৎ মণ্ডল একাধিক ফোন করেছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সিবিআই আদালতে কল লিস্ট জমা দিয়ে এই দাবি করেছে। তদন্তকারীরা বর্তমানে একাধিক নামজাদা চিকিৎসকের ভূমিকা খতিয়ে দেখছেন। সিবিআই রিপোর্টে দাবি করেছে, অনেক চিকিৎসককে ইতিমধ্যেই তলব করা হয়েছে এবং তারা আরও সাক্ষীর খোঁজে রয়েছে। সিবিআই ধৃত সন্দীপ ঘোষ এবং অভিজিৎ মণ্ডলের জেল হেফাজতের আবেদন করেছে। তদন্তে যত দ্রুত সম্ভব অগ্রগতি আনার চেষ্টা করছে সিবিআই।
