ব্যুরো নিউজ,৪ অক্টোবর:আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে আর্থিক দুর্নীতি মামলায় সিবিআই আবারও এক গুরুত্বপূর্ণ গ্রেফতারির খবর দিয়েছে। তারা গ্রেফতার করেছে চিকিৎসক আশিস পাণ্ডেকে, যিনি প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। সিবিআই সূত্রে জানা গেছে, ধৃত আশিস তৃণমূলের ছাত্রনেতা এবং তার বিরুদ্ধে সরকারি হাসপাতালে ‘হুমকি সংস্কৃতি’তে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।এর আগে, ২৫ সেপ্টেম্বর ‘হুমকি সংস্কৃতি’তে অভিযুক্তদের ডেকে পাঠানো হয়েছিল। তাদের মধ্যে ছিলেন আশিসও। এই মামলায় এর আগে সন্দীপ ঘোষ সহ চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। বর্তমানে সিবিআইয়ের তদন্তে মোট পাঁচজন গ্রেফতার হয়েছে।
ওয়েস্ট ব্যাঙ্কে ইজ়রায়েলি হামলাঃগাজার যুদ্ধের প্রভাব এবং প্যালেস্টিনীয় আন্দোলনের নতুন সমীকরণ
সল্টলেকের একটি গেস্ট হাউস
আশিসের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তিনি ৯ অগস্ট ঘটনাস্থলে, অর্থাৎ আরজি কর হাসপাতালে ঘটে যাওয়া ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় জড়িত থাকতে পারেন। এই ঘটনার দিন তিনি সল্টলেকের একটি গেস্ট হাউসে ছিলেন। সিবিআই তাকে সিজিও দফতরে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। এই ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে গেস্ট হাউসের কর্মীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।৯ অগস্ট, আরজি কর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চার তলার সেমিনার হল থেকে তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয়। তাকে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগে রাতেই কলকাতা পুলিশের এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেফতার করা হয়। পরে কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে সিবিআই এই মামলার তদন্ত শুরু করে।
আইরার সঙ্গে শামির দেখাঃ হাসিনের দাবি, ‘সবটা লোক দেখানো’
হাসপাতালের আর্থিক দুর্নীতির তদন্তের জন্য গত ১৬ অগস্ট রাজ্য সরকার একটি বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করে। এই দলের নেতৃত্বে ছিলেন আইপিএস অফিসার প্রণব কুমার। কিন্তু রাজ্য পুলিশের সিটের উপর আস্থা না থাকার কারণে কলকাতা হাই কোর্টে ইডিকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়ার আবেদন করা হয়েছিল। আদালত সিবিআইকে তদন্তভার দেওয়ার নির্দেশ দেয় এবং তারপর থেকেই সিবিআই হাসপাতালের একাধিক কর্মকর্তার বাড়িতে তল্লাশি শুরু করে।এই কাণ্ডের ফলে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে আর্থিক দুর্নীতি ও মানবিকতার ক্ষেত্রে নানা প্রশ্ন উঠছে। তদন্তের এই পর্যায়ে কীভাবে বিষয়গুলি সামনে আসবে, তা দেখার বিষয়।