ব্লুবাগিং কী?
‘ব্লুবাগিং’ হল একটি প্রযুক্তিগত কৌশল যার মাধ্যমে সাইবার অপরাধীরা আপনার ফোন বা অন্য যেকোনো ব্লুটুথ সক্ষম ডিভাইস হ্যাক করতে পারে। একবার ব্লুটুথ চালু থাকলে, অপরাধীরা আপনার ডিভাইসে অজানা স্পাইওয়্যার বা ম্যালওয়্যার ইনস্টল করে দিতে পারে, ফলে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য যেমন ছবি, অডিও, ভিডিও, মেসেজ ইত্যাদি চুরি হয়ে যেতে পারে।দীর্ঘদিন ধরে ব্লুটুথ প্রযুক্তি ব্যবহৃত হচ্ছে, যা মূলত ছোট পরিসরের রেডিও প্রযুক্তি হিসেবে কাজ করে। এটি সাধারণত একটি ডিভাইস থেকে অন্য ডিভাইসে তথ্য আদানপ্রদান বা কথোপকথনের জন্য ব্যবহৃত হয়। যদিও ব্লুটুথের মাধ্যমে বিপদের সম্ভাবনা কম । বর্তমানে টিভি, গাড়ি, স্মার্টওয়াচ এবং ইয়ারবাড সহ বিভিন্ন ডিভাইসে ব্লুটুথ থাকায়, সাইবার অপরাধীরা সুযোগ নিচ্ছে।
শনি গ্রহের রাশি পরিবর্তন দুর্গাপুজোর সময়ে কেমন প্রভাব পড়বে আপনার জীবনে?
কীভাবে সতর্ক থাকবেন?
১. প্রয়োজন শেষ হলে ব্লুটুথ বন্ধ করুন: জনবহুল স্থানে ভুলেও ব্লুটুথ চালু রাখবেন না।
২. অজানা লিঙ্ক বা মেসেজে ক্লিক করবেন না: ব্লুটুথের মাধ্যমে কোন অজানা লিঙ্ক বা মেসেজ পেলে তা খুলবেন না। এতে ভাইরাস বা ম্যালওয়্যার প্রবেশ করতে পারে।
৩. অচেনা ডিভাইসের সাথে সংযোগ করবেন না: ব্লুটুথ পেয়ারিংয়ের সময় কেবল পরিচিত ডিভাইসের সাথে সংযোগ করুন। অচেনা নাম বা নম্বর থেকে সংযোগ করতে বললে, তা গ্রহণ করবেন না।
৪. গোপন তথ্য ব্লুটুথে পাঠাবেন না: ব্যক্তিগত তথ্য, ব্যাঙ্কের তথ্য বা লেনদেন সংক্রান্ত তথ্য ব্লুটুথের মাধ্যমে পাঠাবেন না।
৫. অ্যাপ বা সফ্টওয়্যার আপডেটের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকুন: ব্লুটুথের মাধ্যমে কোন অ্যাপ বা সফ্টওয়্যার আপডেটের তথ্য এলে, তা গ্রহণ করবেন না। যদি কোনো অ্যাপ ডাউনলোড করেন, তবে তা অ্যান্টিভাইরাস দিয়ে স্ক্যান করে নিন।
৬. ব্লুটুথ পাসওয়ার্ড শক্তিশালী রাখুন: পাসওয়ার্ডের জন্য সাধারণ নাম, জন্মতারিখ বা নম্বর ব্যবহার করবেন না। এটি শক্তিশালী ও সুরক্ষিত রাখতে হবে।এভাবে সাবধান থাকলে ব্লুটুথের মাধ্যমে সাইবার ঝুঁকি থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখা সম্ভব।