ব্যুরো নিউজ,২ ডিসেম্বর:কিছুদিন ধরে বিরাটি স্টেশনে হকার উচ্ছেদ নিয়ে উত্তেজনা চলছিল। রেলের জমি বা প্ল্যাটফর্মে হকাররা ব্যবসা চালিয়ে আসছিলেন এবং রেল কর্তৃপক্ষ তাদের উচ্ছেদ করতে চাইছিল। ইতিমধ্যে, রেলের পক্ষ থেকে হকারদের নোটিশ দেওয়া হয়েছিল উঠে যাওয়ার জন্য কিন্তু তারা জায়গা ছেড়ে ওঠেনি। ফলে রেল কর্তৃপক্ষ রবিবার, দোকান ভাঙার কাজ শুরু করলে, হকাররা প্রতিবাদে সরব হয়ে ওঠেন। তারা রেলের অফিসারদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন এবং অবরোধ করে দেন বিরাটি স্টেশনে।
নেচার ইনডেক্সে প্রথম স্থানে ভারতের কোন শহর জানেন?
প্রতিবাদ
হকাররা দীর্ঘ বছর ধরে এই ব্যবসা করছেন এবং তাদের দাবি, এই হকারি দিয়েই তাদের সংসার চলে। দোকান ভেঙে দিলে তারা কীভাবে জীবনযাপন করবেন? এমন প্রশ্ন তোলেন তারা। হকারদের আন্দোলন তীব্র হওয়ার ফলে কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস ও সিপিএমের বিভিন্ন সংগঠন তাদের পাশে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ জানায়। এতে উত্তেজনা আরও বাড়ে। এমন পরিস্থিতিতে রেল কর্তৃপক্ষ বারবার ঘোষণা করতে থাকে যে হকারদের জায়গা ফাঁকা করতে হবে, কিন্তু হকাররা তা মানতে নারাজ।
জোর করে ধর্মান্তর বন্ধ করতে নতুন বিল আনছে রাজস্থান সরকার
এই আন্দোলনের কারণে হাবড়া লোকাল ট্রেন দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকে, যার ফলে যাত্রীদের ভোগান্তি বাড়ে। পরে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে জিআরপি (গণ রেল পুলিশ) ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং পুলিশ অফিসাররা বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেন। এদিকে, বিরাটি স্টেশনের চারপাশে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয় যাতে পরিস্থিতি আরও বিশৃঙ্খল না হয়।হকারদের দাবি, তাদের দোকান ভেঙে দেওয়া হলে তাদের জীবনযাত্রা ব্যাহত হবে, তাই তারা প্রতিবাদ জানাচ্ছেন।