চলুন ঘুরে আসি বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর থেকে

ব্যুরো নিউজ, ২৭ জানুয়ারি:পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুর শহর ঐতিহাসিক দিক থেকে এক অনন্য স্থান। মন্দিরের শহর হিসেবে পরিচিত এই স্থান, যেখানে ইতিহাস ও সংস্কৃতির এক অপূর্ব মিলন ঘটে। বিষ্ণুপুরের সুনাম তার পোড়ামাটির শিল্প ও মন্দির নির্মাণের জন্য। রাজা বীরহাম্বির হাত ধরে প্রতিষ্ঠিত রাসমঞ্চ আজও এই শহরের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ। রাসমঞ্চের বিশেষত্ব হল এর অনন্য স্থাপত্যশৈলী যা বহু বছর ধরে দর্শকদের মুগ্ধ করে আসছে। এটির আর্কিটেকচারাল মার্ভেল হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে, যা ভারতের শিল্প ও স্থাপত্যের এক অমূল্য রত্ন।

শীতকালে ঘুরে আসুন এক আদর্শ সমুদ্র সৈকত শহর গোপালপুরে

কি কি আছে?

বিষ্ণুপুরের ইতিহাসে আরও একটি উল্লেখযোগ্য স্থান হল দলমাদল কামান। এই কামানটি বর্গীদের আক্রমণ রুখে দেওয়ার জন্য ব্যবহৃত হয়েছিল। মল্ল রাজা রঘুনাথ সিংয়ের প্রতিষ্ঠিত জোড় বাংলা মন্দিরও এই শহরের ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ। মন্দিরটি পশ্চিমবঙ্গের পোড়ামাটির শিল্পের একটি অসাধারণ উদাহরণ হিসেবে বিবেচিত হয়। এর সুরম্য স্থাপত্যশৈলী ও ঐতিহাসিক গুরুত্ব একে বিশেষভাবে আলাদা করেছে।এছাড়াও, বিষ্ণুপুরে মদনমোহন মন্দিরও একটি বিখ্যাত দর্শনীয় স্থান। এই মন্দিরটির এক চূড়া এবং বিশেষ নকশা মন্দিরটি আরও আকর্ষণীয় করে তুলেছে। মন্দিরের স্থাপত্যশৈলী এবং তার ধর্মীয় গুরুত্ব অবশ্যই একটি অপূর্ব অভিজ্ঞতা প্রদান করে।

চলুন ঘুরে আসি কলকাতার একদম কাছে ‘মন্দির শহর’ কালনা থেকে

বিষ্ণুপুরে এসে পোড়ামাটির হাটও মিস করা যাবে না। এখানে এসে বিষ্ণুপুরের সব ধরনের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি একসঙ্গে দেখা যায়। উইকেন্ডে এই হাটে এসে আপনি এখানকার পরিচিত শিল্পকর্ম এবং ঐতিহাসিক স্মৃতিচিহ্নের সঙ্গে পরিচিত হতে পারবেন। ইতিহাস গবেষক সুকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, “বাঁকুড়ার বুকে বিষ্ণুপুর শহর একটি আর্কিটেকচারাল হিস্ট্রি মাইন ফিল্ড,” যা এই শহরের ঐতিহাসিক গুরুত্বকে আরও স্পষ্ট করে।বিষ্ণুপুরের এই সমৃদ্ধ ঐতিহ্য ও ইতিহাস আপনাকে চিরকাল মনে থাকবে।

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর