ব্যুরো নিউজ ,২৫ ডিসেম্বর:বিহারের বৈশালী জেলার এক সরকারি স্কুলের শিক্ষক মাতৃত্বকালীন ছুটির জন্য আবেদন করেছিলেন এবং তা মঞ্জুরও হয়। সাত দিনের ছুটি কাটিয়ে ফের স্কুলে যোগ দেওয়ার পর কর্তৃপক্ষ বুঝতে পারে বিষয়টি ভুল। কীভাবে একজন পুরুষ শিক্ষক মাতৃত্বকালীন ছুটি পেলেন, তা নিয়ে শুরু হয়েছে শোরগোল। এই ঘটনা নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে।
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের ‘নোট ভার্বাল’ ও নয়াদিল্লির সতর্ক প্রতিক্রিয়া
শিক্ষকদের অভিযোগ
জানা গিয়েছে, ওই শিক্ষক সরকার নির্ধারিত পোর্টালে ছুটির জন্য আবেদন করেন। তবে তিনি ‘মাতৃত্বকালীন ছুটি’র অপশনটি বেছে নেন। প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে আবেদনটি মঞ্জুর হয়ে যায় এবং তিনি নির্দ্বিধায় ছুটিতে যান। কিন্তু ফিরে আসার পর বিষয়টি নজরে আসে, যখন সহকর্মীরা সেই মঞ্জুর হওয়া ছুটির স্ক্রিনশট সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেন।বৈশালীর মহুয়া ব্লকের শিক্ষা অধিকর্তা অর্চনা কুমারী জানিয়েছেন, ‘‘এটি সম্পূর্ণ প্রযুক্তিগত ত্রুটি। কোনও ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে এই ভুল করেননি।’’ তিনি আরও জানান, মাতৃত্বকালীন ছুটি শিক্ষিকাদের জন্য নির্ধারিত, তবে পিতৃত্বকালীন ছুটির ব্যবস্থাও রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।
ইরানে ইন্টারনেটের কড়াকড়ি শিথিল: হোয়াটসঅ্যাপ ও গুগল প্লে-র নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার
তদন্তে আরও জানা গেছে, প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে কিছু শিক্ষকের ‘আর্নড লিভ’ কেটে নেওয়া হয়েছে। ক্ষুব্ধ শিক্ষকরা অভিযোগ তুলেছেন। শিক্ষা বিভাগ আশ্বাস দিয়েছে যে এই সমস্যার সমাধান দ্রুত করা হবে এবং কেউ যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, তা নিশ্চিত করা হবে।এই ঘটনাটি শুধুমাত্র প্রযুক্তিগত ভুল নয়, বরং সরকারি ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকরগুলিকে সামনে এনেছে। কীভাবে এমন ভুল হতে পারে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সামাজিক মাধ্যমে ঘটনাটি নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। অনেকেই বিষয়টি মজার দৃষ্টিতে দেখলেও, শিক্ষকদের অভিযোগ গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করা হচ্ছে।