ব্যুরো নিউজ,১ জানুয়ারি:অবশেষে ওড়িশার সিমলিপালে ফিরল বাঘিনি জ়িনত। মঙ্গলবার রাত ৮টা নাগাদ বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করে সিমলিপালে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। তবে, তাকে এখনই জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হবে না। বর্তমানে সে পর্যবেক্ষণের মধ্যে থাকবে, যাতে তার সুস্থতা নিশ্চিত করা যায়।বাঘিনির দীর্ঘ যাত্রার পর, বাঁকুড়ার গোঁসাইডিহিতে জ়িনতকে ধরার পর আলিপুর চিড়িয়াখানার পশু হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখানেও চিকিৎসার জন্য তাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। যদিও সে কোনো মাংস খায়নি, তবে সোম ও মঙ্গলবার কেবল পানি এবং ওআরএস খেয়ে দিন কাটিয়েছে।
আর জি কর কাণ্ডে নতুন বছরে নতুন সংকল্প, ন্যায়বিচারের দাবিতে আন্দোলন চলবে
জ়িনত সম্পর্কে কিছু তথ্য:
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, বাঘিনির খাবার না খাওয়ার কোনো সমস্যা নেই, কারণ বাঘরা সাধারণত সাত দিন পর্যন্ত খাবার না খেয়েও বেঁচে থাকতে পারে। তবে, ঘুমপাড়ানি গুলির কারণে বাঘিনির যে ঝিমুনি ভাব ছিল, তা কেটে গিয়েছে এবং তার শরীরে কোনো চোট নেই। বর্তমানে সে চনমনে রয়েছে এবং মাঝেমধ্যে ডাকও দেয়।সোমবার রাতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাঘিনির সুস্থতা নিয়ে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেন। তিনি জানান, বন দফতরের তত্ত্বাবধানে বাঘিনি সুস্থ আছে এবং তার খেয়াল রাখা হচ্ছে। মঙ্গলবার বনমন্ত্রীও জানান, জ়িনতকে সিমলিপালে পাঠানো হলেও, তাকে এখনই জঙ্গলে ছাড়তে হবে না এবং আপাতত পর্যবেক্ষণে রাখা হবে।ওড়িশা থেকে একটি মেডিক্যাল টিম আলিপুরে এসে বাঘিনির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে এবং যৌথ সিদ্ধান্তের পর তাকে সিমলিপালে ফের পাঠানো হয়।
নতুন বছরে বাংলাদেশের পাঠ্যবইয়ে বড় পরিবর্তনঃ ইতিহাস এবং সাহিত্যে নতুন সংযোজন
জ়িনত সম্পর্কে কিছু তথ্য: জ়িনতের জন্ম হয়েছিল মহারাষ্ট্রের তাডোবা-আন্ধারি ব্যাঘ্র সংরক্ষণে। সেখানে থেকে তাকে ওড়িশার সিমলিপালে পাঠানো হয়েছিল, যেখানে সে বাস করত। কিছু দিন আগে, ঝাড়খণ্ডের কুলিয়া রেঞ্জ পেরিয়ে জ়িনত পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন অঞ্চলে ভ্রমণ করতে শুরু করে। পরে, বহু দিন ধরে তিনি পুরুলিয়া জেলার বান্দোয়ান থানা এলাকায় প্রবেশ করেন এবং শেষমেষ বাঁকুড়ার গোঁসাইডিহির জঙ্গলে পৌঁছান। দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর, রবিবার তাকে ধরা হয়। এরপর, সিমলিপাল থেকে আনা বিশেষ খাঁচায় বাঘিনিকে নিরাপদে আটক করা হয়।বর্তমানে, জ়িনতকে ওড়িশায় ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে, কিন্তু তাকে পর্যবেক্ষণের মধ্যে রাখা হচ্ছে। এখন, বাঘিনির পরবর্তী পদক্ষেপ নির্ভর করবে তার স্বাস্থ্য এবং মানসিক অবস্থার উপর।