ব্যুরো নিউজ,২৫ জানুয়ারি :সুন্দরবনের কাছে সম্প্রতি বাঘের উৎপাত বৃদ্ধি পেয়েছে, যা স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে। স্থানীয়রা দাবি করেছেন যে, বাংলাদেশের সুন্দরবনের বাঘেরা খাবারের অভাবে পশ্চিমবঙ্গের অংশে চলে আসছে। বন দফতরের সূত্র জানাচ্ছে, সুন্দরবনের প্রায় ৬১ শতাংশ বাংলাদেশে এবং ৩৯ শতাংশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গে অবস্থিত। সেখানে খাদ্যের অভাবে বাঘেরা বাংলার সুন্দরবনে চলে আসছে।পশ্চিমবঙ্গের বন দফতর জানায়, প্রতিবারই নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে হরিণ, শূকর, বাঁদরের মতো প্রাণী সুন্দরবনে ছাড়া হয় যাতে বাঘেরা খাদ্য পায়। তবে বাংলাদেশ সরকার ব্যবস্থা নিলে, পরিস্থিতি উন্নতি হতে পারে বলে দাবি করেছে বন দফতর। তাদের অভিযোগ, বাংলাদেশ সরকার এ ব্যাপারে তেমন উদ্যোগ নেয়নি।
একটি বিরল ঘটনাঃ চিকিৎসকের শরীরে ক্যান্সারের সংক্রমণ রোগীর শরির থেকে!
খাবারের খোঁজে
গত বছর, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশের পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে। বন দফতরের একাংশের মতে, বর্তমান বাংলাদেশ সরকারের ‘উদাসীনতা’ই বাঘেদের খাদ্য সংকটের প্রধান কারণ। এর ফলে, বাঘেরা খাবারের খোঁজে লোকালয়ে প্রবেশ করছে।বন দফতরের এক কর্মকর্তা জানান, ‘‘আমরা বাঘের সংখ্যা অনুযায়ী জঙ্গলে প্রাণী ছাড়ি, কিন্তু বাংলাদেশের বাঘেরা এসে আমাদের খাবারে ভাগ বসাচ্ছে। এই কারণে বাঘেরা লোকালয়ে ঢুকে পড়ছে।’’অন্যদিকে, বাংলাদেশের পরিস্থিতি এখন এমন যে, বনভূমি এবং জলাশয়ের দিকে নজর দেওয়াও সরকারের জন্য সম্ভব হচ্ছে না। বন দফতরের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘‘বাংলাদেশের সরকার সুন্দরবনের পরিস্থিতি নিয়ে উদাসীন, তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে সরকারের জন্য প্রতিটি সমস্যার দিকে নজর দেওয়া সম্ভব নয়।’’
জানেন কি মাতৃত্বের পথচলায় মায়ের মস্তিষ্কে ঘটে আশ্চর্যজনক পরিবর্তন?
বন দফতরের কর্মকর্তারা বলেন, ‘‘রয়্যাল বেঙ্গল টাইগাররা তাদের খাদ্যের খোঁজে এক অঞ্চল থেকে অন্য অঞ্চলে চলে আসে। বাংলাদেশের সুন্দরবনে খাবারের অভাবে বাঘেরা এখানে চলে আসছে, এতে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই।’’ তবে, অন্য এক কর্মকর্তা দাবি করেন, ‘‘বাংলাদেশ সরকার এই বিষয়ে পদক্ষেপ নেবে, তা অবশ্যই প্রয়োজন।’’ পশ্চিমবঙ্গের বন দফতর এখন চিন্তিত যে, সুন্দরবনের বাঘের এই উৎপাত যদি বাড়তে থাকে, তবে তা এলাকাবাসীর জন্য বিপদজনক হয়ে উঠবে। এছাড়া, সরকারের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের অপ্রতুলতা কারণে এই সমস্যা সমাধানে আলোচনা করা কঠিন হচ্ছে।এই পরিস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকেই পদক্ষেপ গ্রহণের প্রয়োজন, যাতে সুন্দরবনের লাগোয়া লোকালয়ে বাঘের আনাগোনা কমানো যায়।
