ব্যুরো নিউজ,১ অক্টোবর:বাংলা আবারও কেন্দ্রের পক্ষ থেকে বঞ্চিত হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বন্যার জন্য মোট ৬৭৫ কোটি টাকা আর্থিক বরাদ্দ করেছেন, কিন্তু এখনও পর্যন্ত বাংলা একটি টাকাও পায়নি, এমনটাই দাবি করছে রাজ্য সরকার। সম্প্রতি অতিবৃষ্টি ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে বাংলার দক্ষিণবঙ্গে ভয়াবহ বন্যার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এই বিষয়টি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ তুলেছেন।
টাইফুন ইয়াগির আতঙ্কঃ বিপন্ন সিয়াম কুমিরদের বাঁচাতে কঠিন সিদ্ধান্ত
রাজ্যে বানভাসি পরিস্থিতি
বিগত কয়েকদিন ধরে এক নাগাড়ে বৃষ্টির কারণে একাধিক রাজ্যে বানভাসি পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে গুজরাট, মণিপুর এবং ত্রিপুরা কেন্দ্রীয় সরকারের সাহায্য পেয়েছে। এই তিনটি রাজ্য বিজেপি শাসিত, আর তাদের দ্রুত আর্থিক সাহায্য দেওয়ার কারণে বিরোধী রাজ্যগুলি কেন্দ্রের পক্ষ থেকে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলছে।গুজরাট ৬০০ কোটি টাকা, মণিপুর ৫০ কোটি টাকা এবং ত্রিপুরা ২৫ কোটি টাকা পেয়েছে। এই রাজ্যগুলোতে বর্ষাকালে বন্যা ও ধসের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের পক্ষ থেকে সোমবার একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে, যেখানে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নেতৃত্বে বন্যা দুর্গত রাজ্যগুলিকে সাহায্য করা হবে।এ বছরের বর্ষাকালে বন্যার কবলে পড়েছে অসম, মিজোরাম, কেরল, তেলাঙ্গানা, নাগাল্যান্ড, গুজরাট, অন্ধ্রপ্রদেশ এবং মণিপুর। অথচ, বাংলায় কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল এসে ক্ষয়ক্ষতি পর্যালোচনা করেনি। তাই কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে বাংলাকে এখনও কোনও আর্থিক সাহায্য দেওয়া হয়নি।
পশ্চিম এশিয়ায় যুদ্ধের উত্তাপঃ লেবাননে হিজবোল্লা নেতার মৃত্যু
তবে সূত্রের খবর, বিহার এবং বাংলার বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল শীঘ্রই আসবে। তারা সরেজমিনে ক্ষয়ক্ষতি দেখবেন এবং রিপোর্ট তৈরি করে কেন্দ্রকে জানাবেন। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে রাজ্য দুটির জন্য টাকা বরাদ্দ করা হবে। বিহার বর্তমানে এনডিএ সরকারের শরিক, তাই সেখান থেকে দ্রুত সাহায্য আসার সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু বাংলার জন্য টাকা আসবে কিনা, তা এখনও নিশ্চিত নয়।মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই পরিস্থিতিকে বঞ্চনা হিসেবে উল্লেখ করেছেন। চলতি বছরে কেন্দ্রীয় সরকার এসডিআরএফের মাধ্যমে ৯০৪৪ কোটি টাকা ২১টি রাজ্যে, ৪৫২৯ কোটি টাকা এনডিআরএফের মাধ্যমে ১৫টি রাজ্যে, এবং ১৩৮৫ কোটি টাকা ১১টি রাজ্যে দিয়েছে। এখন বাংলার দিকে কেন্দ্রের নজর দেওয়ার সময় এসেছে বলেই মনে করছেন স্থানীয় রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।