ব্যুরো নিউজ,২১ ফেব্রুয়ারি :বৃহস্পতিবার বরহমপুর আদালতে রাজ্য পুলিশের STF একটি বিস্ফোরক দাবি করেছে। তারা জানায়, জেলে বসে হিন্দু যুবকদের ইসলামে ধর্মান্তরিত করেছে আনসারউল বাংলা জঙ্গি তারিকুল। এই ধর্মান্তরণের মাধ্যমে, তারিকুল জঙ্গিবাদের প্রচার করার কাজ করছিল। STF-এর তরফে দাবি করা হয়েছে যে, তারিকুল মগজধোলাই করে কমপক্ষে ৩ জনকে ধর্মান্তরিত করেছে এবং তাদেরকে জঙ্গি কার্যকলাপে নামিয়ে দিয়েছে। এর মধ্যে একজন গ্রেফতার হয়েছেন এবং বাকিদের খোঁজ চলছে।
বিদেশে মেডিক্যাল পড়তে গেলেও নিট পাস করতেই হবে? সুপ্রিম কোর্টের রায়ে কি জানা গেল?
বাইরে কি পরিস্থিতি?
এই জঙ্গি নেটওয়ার্কের তদন্তে, রাজ্য পুলিশের STF বৃহস্পতিবার ৬ জন জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছে, অসম STF ৩ জন এবং বিপ্লব বিশ্বাস, যাকে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত করা হয়েছিল, সেই জঙ্গিকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। তারিকুল, যিনি বহরমপুর জেলে বন্দী ছিলেন, সেখানে বসেই ধর্মান্তরণ করছিল। তার ধর্মান্তরিত করা এক ব্যক্তি হলেন বিপ্লব বিশ্বাস, যাকে জেলে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করানোর পর ‘আবদুল’ নাম দেওয়া হয়।
বিপ্লব জামিনে মুক্ত হওয়ার পর তাকে ইসলামি জঙ্গিবাদ প্রচারে নিয়োগ দেওয়া হয়।বেঙ্গল STF আরও জানায়, শুধু বিপ্লব নয়, তারিকুল আরও অন্তত দুইজনকে জেলে বসে ধর্মান্তরিত করেছে। এই দুজনের খোঁজও চলছে। তবে, একাধিক প্রশ্ন উঠছে—রাজ্যের জেলগুলিতে এমন ধর্মান্তরণের কার্যকলাপ চললেও, জেল প্রশাসন কীভাবে তা জানতে পারেনি?
নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে এনডিএ জোটের শক্তি প্রদর্শন, আগামী নির্বাচনে একযোগে লড়াইয়ের প্রস্তুতি বঙ্গে
অথবা গোয়েন্দা সংস্থাগুলি এসব খবর জানতেও কেন কোনও পদক্ষেপ নিল না? প্রশাসন কি সব কিছু জেনেও এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়নি?এই ঘটনার পর, রাজ্যে নিরাপত্তা এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলির কার্যকারিতা নিয়ে বড় ধরনের প্রশ্ন উঠেছে। জনগণের মধ্যে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে যে, যদি এমন ঘটনা জেলে ঘটে, তবে বাইরে কি পরিস্থিতি?