ব্যুরো নিউজ,৭ জানুয়ারি:পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের মাধ্যমে রাজ্যের বরাদ্দ হওয়া ৫,১৬৬ কোটি টাকা থেকে বেশ কিছু জেলা পিছিয়ে রয়েছে অর্থ খরচে। চলতি অর্থবর্ষের (২০২৪-’২৫) শেষ হতে এখন মাত্র তিন মাস বাকি, আর সেই সময়ের মধ্যে রাজ্য সরকার পুরো বরাদ্দকৃত অর্থ খরচ করতে চাইছে। নবান্ন সূত্রে জানা গেছে, ৩১ মার্চের মধ্যে অর্থবর্ষ শেষ হলে, রাজ্য সরকারের কাছে প্রায় ২,০০০ কোটি টাকা খরচ বাকি রয়েছে। ফলে নবান্ন এই ব্যাপারে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে এবং জেলা প্রশাসনকে দ্রুত প্রকল্পগুলি শেষ করার নির্দেশ দিয়েছে।যে জেলাগুলিতে খরচের পরিমাণ অনেকটাই কম, সেগুলির মধ্যে দার্জিলিং, দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদহ, মুর্শিদাবাদ, হাওড়া, পুরুলিয়া এবং দুই ২৪ পরগনা উল্লেখযোগ্য। দক্ষিণ ২৪ পরগনা, যেটি পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ পেয়েছিল, সেখানে ৫৩২ কোটি টাকার মধ্যে ২৫২ কোটি টাকা এখনও খরচ হয়নি।
দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের তারিখ ঘোষণাঃ ত্রিমুখী লড়াইয়ের প্রস্তুতি
রাজ্য সরকারের অভিযোগ
মুর্শিদাবাদেও ৪৯৬ কোটি টাকার মধ্যে ২৩৭ কোটি টাকা খরচ বাকি রয়েছে। তবে কিছু জেলার কাজের অগ্রগতি সন্তোষজনক হয়েছে, যেমন কোচবিহার ও নদিয়া, যেখানে বরাদ্দ অর্থের প্রায় ৮০ শতাংশ খরচ হয়েছে।নবান্নের প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্টভাবে নির্দেশ দিয়েছেন, যেসব প্রকল্প চলছে, সেগুলি এই অর্থবর্ষের মধ্যেই শেষ করতে হবে। তিনি বলেছেন, কোনো প্রকল্প ফেলে রাখা যাবে না এবং তিন মাসের মধ্যে নির্মীয়মাণ প্রকল্পগুলিকে শেষ করতে হবে। সংশ্লিষ্ট জেলাগুলিকে কাজের অগ্রগতি নিয়ে নিয়মিত রিপোর্টও পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।এদিকে, রাজ্য সরকার অভিযোগ করেছে যে কেন্দ্রীয় সরকার ১০০ দিনের কাজ ও আবাস যোজনার মতো বেশ কিছু প্রকল্পের জন্য টাকা দিচ্ছে না। তবে লোকসভা ভোটের আগে, রাজ্য সরকার নিজস্ব তহবিল থেকে ১০০ দিনের কাজের মজুরদের বকেয়া মজুরি পরিশোধ করেছে। এছাড়া, গত ডিসেম্বরেই আবাস যোজনার প্রথম কিস্তি ১২ লক্ষ মানুষের অ্যাকাউন্টে ৬০ হাজার টাকা করে পাঠানো হয়েছে।
আবারও ভক্তের মৃত্যুঃ ‘পুষ্পা ২’ থেকে ‘গেম চেঞ্জার’ পর্যন্ত একই দৃশ্যের পুনরাবৃত্তি
এবার যদি পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের বরাদ্দ টাকা খরচ না হয়, তাহলে বিরোধী দল সেটি রাজ্য সরকারের ব্যর্থতা হিসেবে তুলে ধরতে পারে। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, যদি নির্দিষ্ট সময়ে টাকা খরচ করা যায়, তবে আগামী বরাদ্দের সময় অতিরিক্ত দাবি করার সুযোগ থাকবে। ষোড়শ অর্থ কমিশনের কাজ শুরু হয়ে গেছে এবং তারা রাজ্যগুলির সঙ্গে বৈঠক করছে। রাজ্য সরকার চাইছে, পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের বকেয়া টাকা সঠিকভাবে খরচ করা হোক, যাতে ষোড়শ অর্থ কমিশনের কাছে তাদের বরাদ্দ বাড়ানোর দাবি আরও শক্তিশালী হয়।
