ব্যুরো নিউজ,৫ নভেম্বর:আরজি কর মেডিক্যাল হাসপাতাল সংক্রান্ত আর্থিক দুর্নীতির মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত ব্যবসায়ী বিপ্লব সিং আদালতে জামিনের আবেদন করেছেন। সোমবার আলিপুরের বিশেষ সিবিআই আদালতে জামিনের শুনানিতে বিপ্লব সিং দাবি করেন, তিনি নিজেকে পুরোপুরি নির্দোষ প্রমাণিত করবেন। তিনি আরও জানান, আরজি কর হাসপাতালের কাছে তার সংস্থার এখনও ৭ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা বকেয়া রয়েছে।
কেন্দ্রীয় আবাস যোজনায় দুর্নীতির অভিযোগঃ রাজ্য বিজেপির দাবি, ইডি তদন্ত হোক
স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উপর বড় প্রভাব
বিপ্লব সিংয়ের আইনজীবী সিবিআই আদালতে তার মক্কেলের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেন এবং বলেন, বিপ্লব সিং একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী, যিনি কলকাতা এবং রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা সামগ্রী সরবরাহ করেন। তার সংস্থার বরাত রয়েছে এসএসকেএম হাসপাতাল, বাঙুর ইন্সটিটিউট অফ নিউরোসায়েন্স এবং হাওড়া সদর হাসপাতালের মতো বৃহৎ স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানগুলোতে।তবে বিপ্লব সিংয়ের বিরুদ্ধে প্রশ্ন উঠেছে, যদি তার সরবরাহ করা চিকিৎসাসামগ্রীর মান খারাপ হয়, তবে এতগুলো বড় হাসপাতাল কীভাবে তার সংস্থাকে বরাত দিয়েছে? তার আইনজীবী এও জানান, আরজি কর হাসপাতালের কাছে এখনও ৭ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা পাওনা রয়েছেন, যা স্পষ্টভাবে দাবি করা হচ্ছে। তবে তার সংস্থা কেন টাকা পাচ্ছে না, সেই প্রশ্নের উত্তর তিনি দেননি।
সন্দীপ ঘোষের জামিনের আবেদনে বিস্ফোরক অভিযোগঃ সঞ্জয় রায়ের চিৎকারের পেছনে কী রহস্য?
এর আগে, আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলি সিবিআইকে দেওয়া এক বিবৃতিতে অভিযোগ করেন, বিপ্লব সিংয়ের সংস্থা “মা তারা ট্রেডার্স” নানান অভিযোগের সম্মুখীন হয়েছে। তিনি দাবি করেন, বিপ্লব সিং ও তার সহযোগী সন্দীপ ঘোষের সঙ্গে যুক্ত হয়ে হাসপাতালগুলোতে নিম্নমানের চিকিৎসাসামগ্রী সরবরাহ করেছেন, যার মধ্যে টাকা বাটোয়ারা করাও অন্তর্ভুক্ত ছিল। তিনি বলেন, এই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত দুই ব্যক্তি হাসপাতালের জন্য খারাপ মানের সামগ্রী সরবরাহ করে সেই অর্থ ভাগাভাগি করতেন।এদিকে, সিবিআই ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে এবং মামলার বিস্তারিত অনুসন্ধান করা হচ্ছে। বিপ্লব সিংয়ের জামিনের শুনানি আগামী দিনে আরও তীব্র হতে পারে, কারণ এই কেলেঙ্কারি যে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উপর বড় প্রভাব ফেলেছে, তা এখন স্পষ্ট।