অবসর পরবর্তী জীবনে কাজ করার প্রতি আগ্রহের সমীক্ষা অবাক করেছে গবেষকদেরও  

ব্যুরো নিউজ,১৩ ফেব্রুয়ারি:অবসর পরবর্তী জীবন নিয়ে নানা মানুষের নানা ধারণা থাকে। কেউ ভাবেন অবসরের পর পছন্দের শখ পূর্ণ করবেন, কেউবা বিশ্রাম নিতে চান, আবার কেউবা ঘুরে বেড়ানোর স্বপ্ন দেখেন। তবে সম্প্রতি এক সমীক্ষা থেকে জানা গেছে, অনেক বয়স্ক মানুষ অবসর সময়েও বাড়িতে বসে না থেকে কাজ করতে আগ্রহী। তারা ৬০-৬৫ বছর বয়সেও কর্মক্ষেত্রে সক্রিয় থাকার মাধ্যমে জীবনের আনন্দ খুঁজে পাচ্ছেন। মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় বয়স্ক মানুষের কর্মক্ষমতা এবং তাদের স্বাস্থ্য নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে, যা অনেকের জন্য নতুন দিশা নির্দেশ করে।

মোদি- ট্রাম্প বৈঠকে কি প্রধানমন্ত্রী ভারতীয় নাগরিকদের অমানবিক ভাবে বহিষ্কার করা নিয়ে প্রশ্ন তুলবেন? সংশয় কংগ্রেসের 

গবেষণার ফলাফল

গবেষণার ফলাফল অনুযায়ী, ৫০ থেকে ৯৪ বছর বয়সী ৩ হাজার ৪৮৬ জনের ওপর এই সমীক্ষা পরিচালিত হয়। এর মধ্যে ৫০ থেকে ৬৪ বছর বয়সী ৬৩ শতাংশ মানুষ এখনও কর্মরত রয়েছেন। ৬৫ বছর বা তার বেশি বয়সী মানুষের মধ্যে ১৮ শতাংশ এখনও কাজ করছেন, তাদের মধ্যে ৭৮ শতাংশ পূর্ণকালীন কাজ করেন, ২২ শতাংশ আংশিক সময় কাজ করেন, এবং ১৭ শতাংশ স্বনিযুক্ত রয়েছেন। এই ফলাফল অনেকের কাছে চমকপ্রদ হতে পারে, কারণ অবসরের পর মানুষ সাধারণত শখ এবং বিশ্রামে সময় কাটাতে পছন্দ করেন। কিন্তু এই সমীক্ষা একথা প্রমাণ করেছে যে, বয়সের সঙ্গে কাজের সম্পর্ক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

গবেষক জেফরি কুলগ্রেন বলেন, “এই সমীক্ষা ৬৫ বছরের বেশি বয়স্কদের কাজের প্রতি আমার ধারণা বদলে দিয়েছে। ফলাফল থেকে বোঝা যাচ্ছে, যাঁরা এই বয়সে কাজ করছেন, তাঁরা শারীরিক এবং মানসিকভাবে অনেক ভালো আছেন। কাজের মাধ্যমে তাদের অনেক স্বাস্থ্যগত সুবিধা হচ্ছে।”অবসর পরবর্তী সময়ে কাজের বেশ কিছু সুবিধা রয়েছে। অনেক বয়স্ক মানুষের কাছে অবসর সময় এক ধরনের শাস্তি হয়ে দাঁড়ায়। একাকিত্ব এবং মনঃশান্তি হারানো তাদের জীবনে বড় সমস্যা হয়ে দেখা দেয়। তবে কাজের মধ্যে থাকলে এই একাকিত্ব এবং অবসাদের সমস্যা অনেকটাই কমে যায়। এছাড়া বয়সের সঙ্গে শারীরিক এবং মানসিক ক্ষমতা কমতে শুরু করে, কিন্তু কাজের মাধ্যমে মস্তিষ্ক এবং শরীর সচল রাখা সম্ভব হয়।

সুনীতা উইলিয়ামস এবং বুচ উইলমোরের পৃথিবীতে ফেরার দিন আরও কাছাকাছি: ক্রিউ-১০ মহাকাশযানের উৎক্ষেপণ তারিখ ঘোষণা

অবসরের পর কাজের আরেকটি সুবিধা হলো সামাজিক সংযোগ। কাজের মাধ্যমে অন্যদের সঙ্গে কথা বলা এবং নতুন সম্পর্ক তৈরি করা সহজ হয়। এটি মানসিক স্বস্তি এবং আত্মবিশ্বাস বাড়াতে সহায়ক। জীবনের এক লক্ষ্য পাওয়া যায়, এবং কর্মজীবন নতুন অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা অর্জন করার সুযোগ দেয়। যে কোনো বয়সেই নতুন কিছু শিখতে এবং চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে পারলে জীবনের মান উন্নত হয়।অবসর পরবর্তী জীবনে কাজ করার প্রতি আগ্রহ শুধু আর্থিক উপার্জনের জন্য নয়, বরং এটি শারীরিক এবং মানসিক উন্নতির জন্যও কার্যকরী হতে পারে। কাজের মধ্যে থাকা শুধু জীবনের জন্য নতুন দিগন্ত খুলে দেয় না, বরং এটি জীবনের এক নতুন উদ্দেশ্যও প্রদান করে।

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর