ব্যুরো নিউজ,২৭ মার্চ : সৌন্দর্য বৃদ্ধির আশায় স্তন প্রতিস্থাপন করিয়েছিলেন। কিন্তু এই অস্ত্রোপচার তার জীবনে ভয়ংকর অভিজ্ঞতা হয়ে দাঁড়ায়। প্রতিস্থাপনের পর থেকেই শারীরিক সমস্যা শুরু হয়, যা ছয় বছর ধরে চলতে থাকে। শেষমেশ পরীক্ষা করে তিনি জানতে পারেন, তার দেহে প্রবেশ করানো ইমপ্লান্টে রয়েছে গবাদি পশু ও ইঁদুরের ডিএনএ। হয়েচে দক্ষিণ-পূর্ব চিনের জিয়াংসি প্রদেশের এক তরুণী ২০১৭ সালে বেজিংয়ের একটি বিখ্যাত রূপচর্চা কেন্দ্রের বিজ্ঞাপনে আকৃষ্ট হয়ে স্তনের আকার বৃদ্ধি করতে আগ্রহী হন লিংলিং। ক্লিনিকটির দাবি ছিল, তাদের পদ্ধতি একদম নিরাপদ ও আধুনিক। রোগীর দেহ থেকেই কোলাজেন সংগ্রহ করে সেটি বিশেষ প্রক্রিয়ায় ইমপ্লান্ট হিসেবে ব্যবহার করা হবে বলে জানানো হয়েছিল। ক্লিনিকের প্রধান সার্জেনও তাঁকে আশ্বস্ত করেন যে, এতে কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হবে না।
উড়িষ্যায় সোনার খনি! নতুন স্বর্ণভান্ডারের সন্ধান
কিন্তু অস্ত্রোপচারের কয়েক মাস পরই লিংলিং ব্যথা অনুভব করতে শুরু করেন। পরবর্তী ছয় বছরে তিনি একাধিকবার ইমপ্লান্ট মেরামত ও প্রতিস্থাপন করান। মোট নয়টি অস্ত্রোপচার করতে হয়, যার জন্য তাঁকে গুনতে হয়েছে প্রায় ২৪ লক্ষ ইউয়ান (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ২ কোটি ৮৫ লক্ষ টাকা)।২০২৩ সালে লিংলিং তাঁর ইমপ্লান্টে ছিদ্র খুঁজে পান। এরপর ২০২৪ সালের অক্টোবরে তিনি সাংহাইয়ের একটি হাসপাতালে যান ইমপ্লান্ট অপসারণের জন্য। পরীক্ষা চলাকালীন চিকিৎসকরা দেখতে পান, যে উপাদানটি তাঁর শরীরে প্রবেশ করানো হয়েছিল, তা শরীরের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকর। পরীক্ষার পর দেখা যায়, তাঁর ইমপ্লান্টে গবাদি পশু এবং ইঁদুরের ডিএনএ রয়েছে, যা তাঁর স্বাস্থ্যের জন্য ভয়ংকর হতে পারে।
কেকেআরের জয়,শাহরুখের ভক্ত গ্রেফতার
অস্ত্রোপচারের আগে সতর্কতা জরুরি
এই ঘটনার পর ক্ষতিপূরণ চাইতে গিয়ে লিংলিং দেখেন, যে ক্লিনিকে তিনি অস্ত্রোপচার করিয়েছিলেন, সেটি বন্ধ হয়ে গেছে। পরে তিনি জানতে পারেন, ওই ‘বেজিং ক্রিয়েটিং মেডিক্যাল কসমেটিক ক্লিনিক’-এর ব্যবসায়িক লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই ৩৯৮টি অভিযোগ জমা পড়েছে।
তৃণমূলের মঞ্চে আইসি, গলায় উত্তরীয় ঘিরে বিতর্ক
এই চাঞ্চল্যকর ঘটনায় চিন জুড়ে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। চিকিৎসকদের মতে, অস্ত্রোপচারের আগে নির্ভরযোগ্য হাসপাতাল ও ক্লিনিক নির্বাচন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভুল সিদ্ধান্ত শুধু আর্থিক ক্ষতির কারণই নয়, এটি শারীরিক ক্ষতির দিক থেকেও ভয়াবহ হতে পারে।