ব্যুরো নিউজ,৬ আগস্ট: পদত্যাগ করে একরকম লুকিয়ে বাংলাদেশ ছেড়েছেন শেখ হাসিনা। আন্দোলনকারীদের একটিমাত্র দাবি ছিল, হাসিনার পদত্যাগ। তিনি ইস্তফা দিয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পরেও এখনো পর্যন্ত বাংলাদেশে আগুন জ্বলছে। হাসিনার গণভবনে কয়েক হাজার মানুষ ঘন্টাখানেকের মধ্যে চড়াও হন। চলতে থাকে যথেষ্ট লুটপাট। শুধু তাই নয়,বঙ্গবন্ধু মুজিবুর রহমানের একাধিক মূর্তি ভেঙে ফেলা হয়েছে।
হিন্দু সুরক্ষায় বাংলাদেশ সেনার পদক্ষেপ
পদত্যাগ হাসিনার সেনা শাসনে বাংলাদেশ
বাংলাদেশের বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর পাওয়া যাচ্ছে, যতই সময় গড়াচ্ছে সেই দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে একের পর এক হিংসার খবর সামনে আসছে। বিশেষ করে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জনবসতিপূর্ণ এলাকায় অকত্য অত্যাচার নির্যাতন শুরু হয়েছে বলে খবর উঠে আসছে। এমনকি বহু হিন্দু মন্দিরে আক্রমণ হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া সূত্রে বহু ছবি ভিডিও ভাইরাল হতে শুরু করেছে। যদিও তার সত্যতা নিয়ে যাচাই করার প্রশ্ন উঠতে পারে। তবে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় বিশেষ করে হিন্দুরা যে চরম আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন, সেটা স্পষ্ট। কারণ হাসিনা জমানা শেষ হওয়ার পরেও হিংসা থামছে না। বাংলাদেশে যে অর্থে ছাত্র আন্দোলনের কথা বলা হচ্ছে, একমাত্র দাবি অনুযায়ী হাসিনা জামানা শেষ হওয়ার পরেও কেন থামছে না হিংসা? জানা গিয়েছে, সেনাবাহিনী আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্যান্য সমস্ত রাজনৈতিক দলকে নিয়ে ইতিমধ্যেই বৈঠক করেছে।
বিড়াল আপনার ঘরে বাচ্চা দিয়েছে? তাহলে আপনার এটা হতে চলেছে
সেই বৈঠকে দেশবাসীকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে এবং শান্ত থাকার জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান আবেদন জানিয়েছেন। তারপরে বাংলাদেশের রাস্তায় সেনাবাহিনীর টহল দেখা গেলেও হিংসা থামতে দেখা যায়নি। আর সে দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায় বিশেষ করে হিন্দু মানুষদের উপরে যাতে কোনো অত্যাচার বা আক্রমণ নেমে না আসে, সেই কারণে সেনাবাহিনীর তরফে বিভিন্ন জেলায় হেল্পলাইন এবং কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। বলা হয়েছে, কোনো সমস্যায় পড়লে এই সমস্ত হেল্পলাইন নম্বরে যোগাযোগ করে সমস্যার কথা বলা যাবে। প্রতিটি হেল্পলাইন নম্বরের সঙ্গে একজন করে সেনা অফিসারকে দায়িত্ব দিয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।