ব্যুরো নিউজ,৯ আগস্ট: বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং মহাত্মা গান্ধীর মূর্তি আর স্মারক ভাঙচুরের ঘটনা প্রসঙ্গে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘ভাতা নিয়ে যারা এখন তৃণমূলকে ভোট দিচ্ছেন, ২০৩১ সালের জন্য তৈরি হন। আর একটা সুরাবর্দি আসছে। পাশাপাশি যারা বাংলাদেশে রবীন্দ্রনাথ আর গান্ধীর মূর্তি ভাঙচুরের মতো জঘন্য কাজ করেছে, তাদের প্রতিক্রিয়ার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন শুভেন্দু।
একবার ভাবুন, যদি ওরা ঢুকে পড়ে.. বিএসএফের সঙ্গে রাত পাহারায় বাসিন্দারা
রবীন্দ্রনাথ ও গান্ধীর মূর্তি ভাঙা প্রসঙ্গে হুশিয়ারি শুভেন্দুর
বাংলাদেশের এই ঘটনা প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, ‘ধর্ম আলাদা হলেও কিছু বিষয়ে অবিভক্ত বঙ্গের একটা মেলবন্ধন ছিল। খুব কষ্ট হচ্ছে, আমরা নানা ভাষা, নানা মত, নানা পরিধান.. ধর্ম আলাদা.. কিন্তু বঙ্গের সম্পর্ক একটা ছিল। কবিগুরুর সম্ভারটা অন্যতম। আজকে তা আক্রান্ত হচ্ছে। জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীর স্মৃতি ওখানে ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। এর শেষ তো আছে। আগেও আমরা ইতিহাস দেখেছি। নিউটন বলেছেন প্রত্যেক ক্রিয়ার সমান এবং বিপরীত ধর্মী প্রতিক্রিয়া আছে।
বাংলা সীমান্তের কাছেই জেল ভেঙে পালিয়েছে কয়েকশো জামাত জঙ্গি, কড়া নজর বিএসএফের
বাংলাদেশের সাম্প্রতিক মূর্তি ভাঙচুরের ঘটনার পরিস্থিতি নিয়ে হুশিয়ারি দিয়ে শুভেন্দু অধিকারী আরো বলেন,’ যারা পশ্চিমবঙ্গে রাষ্ট্রবাদের পক্ষে ভারতীয় সংস্কৃতির পক্ষে ১৫ই আগস্ট জাতীয় পতাকা তোলার, জাতীয় সংগীত গাওয়ার জন্য অপেক্ষায় আছেন, কিন্তু তৃণমূলকে ভোট দেন। তারা এবার একটু দয়া করে সজাগ হন। গণভবনের যে দৃশ্য আমরা ভিডিওতে দেখেছি। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি পরাজিত হওয়ার পরে এই মডেল দেখেছিলাম। তাই পশ্চিমবঙ্গে যারা ভাবছেন ভাতা তো পাই, আমার কি? তাদের বলবো, ৩১ সালের জন্য তৈরি থাকুন। এখনো যদি সজাগ না হন, আরেকটা সুরাবর্দির হাতে এই বাংলা চলে যাবে।


















