ব্যুরো নিউজ, ২৭ জানুয়ারি:বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য একেবারে অন্যতম চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে মায়ানমার থেকে রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ। প্রতিবছরই হাজার হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে আসে, যা বাংলাদেশের জন্য বড় ধরনের সমস্যা হয়ে উঠছে। গত বছরে বাংলাদেশে প্রায় ৭০ হাজার রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করেছে, এমন তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। রোহিঙ্গাদের এই অনুপ্রবেশ এখনও অব্যাহত রয়েছে, এবং এটি বাংলাদেশের সরকারের জন্য এক বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আপনার জন্মতারিখ বলে দেবে আপনার ইষ্টদেবতার নাম! জানেন আপনার ইষ্টদেবতা কে? জানুন
সংকট মোকাবিলা সহায়তার জন্য আহ্বান
এই পরিস্থিতিতে, আমেরিকার আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (ইউএসএইড) বাংলাদেশের জন্য আর্থিক সাহায্য দেওয়ার সিদ্ধান্ত আপাতত ৯০ দিনের জন্য বন্ধ রাখার ঘোষণা করেছে। তবে, রোহিঙ্গাদের জন্য সাহায্য বন্ধ করা হয়নি, এবং আমেরিকা খাদ্য ও পুষ্টি খাতে সহায়তা অব্যাহত রাখবে বলে জানিয়েছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।আমেরিকা প্রশাসন ট্রাম্পের ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতি অনুসরণ করছে, যার ফলে ইজ়রায়েল ও মিশর ছাড়া অন্য দেশগুলির জন্য আর্থিক সাহায্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তবে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য সাহায্য চালু রাখা বাংলাদেশের জন্য কিছুটা স্বস্তির খবর। বাংলাদেশ সরকার এই সাহায্যের মাধ্যমে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের খাদ্য ও অন্যান্য জরুরি সহায়তা দিতে সক্ষম হবে।
গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ইউনূস সুইজারল্যান্ডের ডাভোসে ‘ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম’-এ অংশ নিয়ে রোহিঙ্গা সঙ্কট নিয়ে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা চাইছেন। তিনি আন্তর্জাতিক স্তরে এই সংকট মোকাবিলায় সহায়তার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। আগামী বছরের সেপ্টেম্বরে, বাংলাদেশ রোহিঙ্গা সঙ্কট নিয়ে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন আয়োজন করতে চায়, যেখানে বিশ্বের ১৭০টি দেশ অংশ নিতে পারে।
এছাড়াও, বাংলাদেশ সরকারের প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়ে দিয়েছেন, ২০২৪ সালে আরও ৭০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছেন। মায়ানমারের উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ ও এর সমাধান বাংলাদেশের সরকারের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। রোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধানের জন্য আন্তর্জাতিক সহযোগিতা প্রয়োজন, এবং বাংলাদেশ এই বিষয়ে আরও বৃহত্তর সাহায্য আশা করছে।
