ব্যুরো নিউজ,১৪ নভেম্বর:গত রবিবার, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের নতুন তিন উপদেষ্টা বঙ্গভবনের দরবার হলে শপথ নেন। কিন্তু শপথ গ্রহণের সময় তাদের পিছনে, দেওয়ালে থাকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি নিয়ে একদল প্রতিবাদ করে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বিষয়টি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিক্রিয়া জানান এবং ছবিটি সরানোর দাবি তোলেন। এর কিছুক্ষণ পরই, বঙ্গভবনের দরবার হল থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি সরিয়ে নেওয়া হয়।
কলকাতা পুলিশের সন্ধানে ভাঙল জাল নোট চক্র , ৩০ লাখ টাকার ৫০০ নোট হল বাজেয়াপ্ত
পাকিস্তানি মতাদর্শের প্রচারের অভিযোগ
নতুন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম এই ঘটনা নিয়ে তার ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট করে জানান, ‘এটা আমাদের জন্য লজ্জার যে, ৫ আগস্টের পর বঙ্গভবন থেকে বঙ্গবন্ধুর ছবি সরাতে পারিনি। আমরা সকলের কাছে ক্ষমা চাইছি।’ তবে, ছবিটি সরানোর ঘটনায় মাহফুজ আলমকে বিভিন্ন মহল থেকে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়। অনেকেই এই পদক্ষেপকে সংবিধানের প্রতি অসম্মান ও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা মুছে ফেলার চেষ্টা বলে অভিহিত করেছেন।পাকিস্তানি মতাদর্শের প্রচারের অভিযোগও উঠেছে। বিশেষ করে কিছু রাজনৈতিক নেতার মতে, শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি সরিয়ে দেওয়া, বাংলাদেশের সংবিধানের মূল চেতনা এবং ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে অস্বীকার করার মতো একটি পদক্ষেপ। বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী, মুজিবুর রহমানের ছবি রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার, প্রধান বিচারপতির কার্যালয়, এবং সমস্ত সরকারি ও আধা-সরকারি অফিসে থাকতে হবে। এই কারণে, রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অনেকেই মনে করেন, এটি সংবিধানের প্রতি শ্রদ্ধাশীল না থাকার পরিচায়ক।
নবান্নে হাজিরার খাতা বন্ধ, এবার কেবল বায়োমেট্রিক সিস্টেমঃ সরকারি দপ্তরে বড় পরিবর্তন
এদিকে, বিএনপি (বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল) এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। দলটি মনে করছে, অন্তর্বর্তী সরকার হয়তো তাদের মেয়াদ বাড়ানোর চেষ্টা করছে এবং সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের পরিবর্তে ক্ষমতায় থাকার চেষ্টা করতে পারে। বিএনপি নেতৃত্বাধীন মহম্মদ ইউনুস সরকার দ্রুত সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের দাবি জানিয়েছে এবং বলেছে যে, নির্বাচিত প্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করাই সরকারের প্রধান দায়িত্ব।এই পরিস্থিতিতে, আগামী দিনের রাজনৈতিক উত্তেজনা এবং শাসক দল ও বিরোধী দলের মধ্যে মতপার্থক্য আরও তীব্র হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।