ব্যুরো নিউজ,৮ ডিসেম্বর:বাংলাদেশের দুই প্রাক্তন সামরিক কর্মকর্তার বিতর্কিত মন্তব্য নিয়ে তোলপাড় নেটমাধ্যম। ঢাকার রাওয়া কমপ্লেক্সে আয়োজিত এক সমাবেশে তারা দাবি করেন, “চারদিনের মধ্যে আমরা কলকাতা দখল করব। ভারত তো দূরের কথা, আমেরিকাও আমাদের সঙ্গে টিকতে পারবে না।” সেই মন্তব্যের ভিডিও ভাইরাল হতেই শুরু হয় নেটিজেনদের তীব্র সমালোচনা ও কটাক্ষ।
‘চারদিনে কলকাতা দখল’, বাংলাদেশি প্রাক্তন সেনার হুমকি নিয়ে উত্তাল, পাল্টা কটাক্ষ তথাগত রায়ের
অযৌক্তিক দাবি এবং নেটিজেনদের প্রতিক্রিয়া
এক প্রাক্তন সামরিক সদস্য বলেন ‘আমরা ৫,০০০ সৈন্যের মধ্যে ২,৫০০ জন নিয়ে যুদ্ধে যেতে প্রস্তুত। আমাদের সঙ্গে ৩০ লাখ ছাত্র-জনতা থাকলে কেউ আমাদের টক্কর দিতে পারবে না।’ উত্তেজিত এক বৃদ্ধ আরও বলেন, ‘আমাদের প্রশিক্ষণ ভারতের চেয়ে অনেক উন্নত। ১৮ কোটি জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমরা চারদিনে কলকাতা দখল করতে পারি।’ এই বক্তব্যকে ঘিরে সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনার ঝড় ওঠে। এক নেটিজেন বলেন ‘ওঁরা বুঝতে পারেননি যে ভারতের ক্ষেপণাস্ত্রগুলো শুধু প্রদর্শনের জন্য নয়।’ অপর একজন বলেন ‘কী খেয়ে এমন মন্তব্য করছেন?’ গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার ২০২৪-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, সামরিক শক্তিতে ভারত বিশ্বের চতুর্থ স্থানাধিকারী যেখানে বাংলাদেশ ৩৭তম। ভারতের পাওয়ার ইনডেক্স ০.১০২৩ যা বাংলাদেশের ০.৫৪১৯ থেকে বহুগুণ উন্নত।
অসমে তৃণমূলের পোস্ট ঘিরে বিভ্রান্তি, রমেন বরঠাকুরকে নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে
বিশ্বের সামরিক শক্তিধর দেশগুলির তালিকায় আমেরিকা প্রথম স্থানে, যার পাওয়ার ইনডেক্স ০.০৬৯৯। দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে যথাক্রমে চিন (০.০৭০২) এবং রাশিয়া (০.০৭০৬)। এই সূচকে ভারতের অবস্থান অনেক মজবুত। বাংলাদেশের প্রাক্তন সেনাদের এমন মন্তব্য বাস্তবের সঙ্গে পুরোপুরি বেমানান।ঢাকার রাওয়া কমপ্লেক্সে আয়োজিত মিছিলে ভারতের বিরুদ্ধে আগ্রাসী বক্তব্য উঠে আসে। প্রাক্তন সেনা কর্মকর্তারা দাবি করেন, তাদের দক্ষতা ও প্রস্তুতি ভারতের চেয়ে বেশি। তবে বাস্তবতা অন্য কথা বলে। সামরিক সরঞ্জাম, প্রশিক্ষণ, প্রযুক্তি এবং কৌশলে ভারত বাংলাদেশের তুলনায় বহুগুণ এগিয়ে।
