ব্যুরো নিউজ,১৩ আগস্ট: বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারতে আশ্রয় দিয়ে ভালো কাজই করেছেন নরেন্দ্র মোদি। কারণ বাংলাদেশ আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্র।দীর্ঘদিন ধরে ভারত বাংলাদেশকে নানাভাবে সাহায্য করেছে। হাসিনার বাবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কেও সর্বতোভাবে সাহায্য করেছিলেন ভারতের সরকার। তাই যে কাজ নরেন্দ্র মোদির সরকার করেছে তা সত্যিই প্রশংসনীয়। ঠিক এভাবেই বিরোধী শিবিরের সাংসদ তথা কংগ্রেস নেতা শশী থাকুর প্রশংসা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির।
High Court Order: মায়ের সঙ্গে বাবারও সমান দায়িত্ব, পুরুষরাও এবার পাবেন সমান ছুটি, নির্দেশ হাইকোর্টের
অটুট থাকবে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক
বাংলাদেশ যখন স্বাধীন হয়নি তখন থেকেই ভারত বাংলাদেশীদের পক্ষেই ছিল। এমনকি স্বাধীনতা আন্দোলনে ভারত সর্বতোভাবে সহায়তা করেছে। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী সেদেশ স্বাধীন হতে সাহায্য করেছিলেন।আমাদের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক নিবিড়। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের মানুষের পাশে ছিল ভারত। খান সেনাদের নির্মম অত্যাচার প্রতিহত করতে বাংলাদেশে মুক্তিযোদ্ধাদের সমস্ত ভাবে সাহায্য করেছে ভারত সরকার। একইসঙ্গে শশী থারুর বলেন বাংলাদেশ যেহেতু প্রতিবেশী রাষ্ট্র তাই প্রতিবেশীকে কেউ অপমান করলে, অশ্রদ্ধা করলে ভালো লাগে না। সেটা ভারতেরও জন্য অসম্মানের। এমনকি হাসিনাকে ভারতে আশ্রয় দেওয়ার পরেও কোনোভাবেই ভারত বাংলাদেশ সম্পর্ক ছিন্ন হবে না বরং দুদেশের সম্পর্ক অটুট থাকবে। এক্ষেত্রে কোন নেতিবাচক প্রভাব পরবেনা। বর্তমান বাংলাদেশের অন্তবর্তী সরকারের বিদেশ বিষয়ক উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেছেন হাসিনার ভারতে থাকার বিষয়টি কখনো দু’দেশের মধ্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে না।
দিনে মাত্র ১০মিনিট মন খুলে হাসলে শরীর এবং মনের কি কি পরিবর্তন হয় জানলে অবাক হবেন
শশী থারুর জানিয়েছেন যে ভারত সরকার তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে সেটা সঠিক ও যথাচিত কাজ। এ ব্যাপারে দু’বার ভাবার অবকাশ নেই ।ভারতবাসী হিসেবে এজন্য আমরা গর্বিত । ভারত সরকার তাকে আশ্রয় দিয়ে সঠিক কাজই করেছেন। হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন যে তার মা দেশ ছাড়তে চাননি। তিনি আবার বাংলাদেশে ফিরবেন। একই কথা বলে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র দপ্তরের উপদেষ্টা এম শাখাওয়াত হোসেন বলেছেন হাসিনা বাংলাদেশে আসবেন এটা ওনারও দেশ। এখনো হাসিনা বাংলাদেশের নাগরিক তিনি স্বেচ্ছায় দেশ ছেড়েছেন কেউ তাকে দেশ থেকে তাড়িয়ে দেয় নি। তিনি যেখানেই থাকুন ভালো থাকুন। আমাদের তার প্রতি শ্রদ্ধা আছে। বাংলাদেশে এমন কিছু হওয়া উচিত নয় যাতে সেখানকার লোকজন ক্ষিপ্ত হয়।তাই শান্তি বজায় রাখতে হবে। হারুন বলেছেন আমরা গর্বিত বিপদের সময় ভারত, বন্ধু হাসিনার পাশে আমরা দাঁড়াতে পেরেছি। তবে হাসিনা কোন দেশে যাবেন বা কতদিন থাকবেন তা তিনি স্পষ্ট করে জানাননি। বাংলাদেশ নিয়ে ভারতের যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে তা নিয়ে জামাতের নেতারা আশ্বস্ত করেছেন যে ভারতের এই বিষয় নিয়ে উদ্বেগে থাকা দরকার নেই। দু’দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক অটুট থাকবে।