ব্যুরো নিউজ,১৬ জানুয়ারি:বাংলাদেশের সংবিধানে পরিচালনার চারটি মূলনীতির মধ্যে তিনটি বাদ দেওয়ার সুপারিশ করেছে সংবিধান সংস্কার কমিশন। বর্তমান চারটি মূলনীতি ছিল – জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র এবং ধর্মনিরপেক্ষতা। তবে সংস্কার কমিশন শুধু গণতন্ত্র রাখার পক্ষেই মত দিয়েছেন এবং বাকি তিনটি নীতি বাদ দেওয়ার সুপারিশ করেছে। এর পরিবর্তে, নতুন চারটি মূলনীতি সংবিধানে যুক্ত করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, সেগুলো হলো: সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক সুবিচার এবং বহুত্ববাদ।
লস অ্যাঞ্জেলেসের দাবানলের ধ্বংসলীলায় শোক প্রকাশ প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার
চারটি মূলনীতি
বাংলাদেশের সংবিধান ১৯৭২ সালে মুক্তিযুদ্ধের পর প্রণীত হয়েছিল এবং সেখানে রাষ্ট্র পরিচালনার চারটি মূলনীতির উল্লেখ ছিল। তবে, সেই সময়ের ধর্মনিরপেক্ষতাকে ‘বহুত্ববাদ’ শব্দে বদলানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এই সুপারিশের মাধ্যমে কিছুটা ধোঁয়াশা তৈরি হতে পারে, কারণ এটি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রের ধারণাকে পুনর্বিবেচনা করার ইঙ্গিত দেয়।তবে, সংস্কার কমিশনের এই প্রস্তাব বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন বয়ে আনতে পারে। বিশেষত, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ এবং ২০২৪ সালের জুলাই মাসের অভ্যুত্থানকে সামনে রেখে এই সংবিধান সংস্কার কাজ চলছে বলে মনে করা হচ্ছে। এছাড়া, বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থাতেও বেশ কিছু পরিবর্তনের সুপারিশ করা হয়েছে।
ভোজপুরি অভিনেতা সুদীপ পাণ্ডে প্রয়াতঃ শিল্প জগতে শোকের ছায়া
একটি উল্লেখযোগ্য সুপারিশ হলো বাংলাদেশের সাংবিধানিক নামের পরিবর্তন। বর্তমানে বাংলাদেশের সাংবিধানিক নাম হল ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ’। কমিশন এর পরিবর্তে ‘জনগণতন্ত্রী বাংলাদেশ’ নামকরণের প্রস্তাব দিয়েছে। এছাড়া, বাংলাদেশিদের সাংবিধানিক পরিচিতিও পরিবর্তন হতে পারে। এ পর্যন্ত নাগরিকরা ‘বাঙালি’ হিসেবে পরিচিত থাকলেও, ভবিষ্যতে ‘বাংলাদেশি’ পরিচিতি দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।এখন, কমিশনের সুপারিশ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করবে অন্তর্বর্তী সরকার এবং তারপরেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এসব পরিবর্তন বাংলাদেশের সাংবিধানিক কাঠামোকে নতুন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখতে সাহায্য করবে।