ব্যুরো নিউজ,২৮ আগস্ট: উত্তাল কলকাতার রাজপথ। পুলিশ- জনতা খন্ডযুদ্ধ। জনতা ঢিল ছুড়ছে, পুলিশ পাল্টা লাঠি উচিয়ে তেড়ে যাচ্ছে, পুলিশ লাঠিচার্জ করছে, জনতা কিছুটা দূরে সরে যাচ্ছে, ফের আবার পুলিশকে আক্রমনে এগিয়ে আসছে। পুলিশ সেটাকে প্রতিহত করছে। এভাবেই নবান্ন অভিযানের দিন দেখা গেল জনতা- পুলিশের মধ্যে সামনাসামনি সম্মুখ সমর।
আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে পথে নামলেই বন্ধ হবে লক্ষীর ভান্ডার
কি ঘোষণা করলেন সুকান্ত মজুমদার?
ছাত্র সমাজের ডাকা নবান্ন অভিযানে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত নবান্নে পৌঁছতে পারেনি আন্দোলনকারীরা। তার আগেই কড়া পুলিশি ব্যবস্থায় পিছু হটতে বাধ্য হয়েছে তারা। কলকাতার রাজপথে দেখা গিয়েছে পুলিশ- জনতার ধ্বস্তাধস্তি, খন্ডযুদ্ধ। বেনজির ছবি দেখা গিয়েছে এবারের আন্দোলনে। পুলিশ কন্টেইনার নিয়ে এসে রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে। শক্তপোক্ত গার্ডওয়াল তৈরি করে ব্যারিকেড দেওয়ার চেষ্টা করলেও জনতার চাপে সেই ব্যারিকেড ভেঙে যায়। আর তারপরে পুলিশ-, জনতার মধ্যে শুরু হয়ে যায় লড়াই। বহু আন্দোলনকারী গ্রেপ্তার হয়েছেন, পুলিশ বহু আন্দোলনকারীকে আটক করেছে। এর প্রতিবাদে বুধবার বিজেপির ডাকে ১২ ঘন্টার বাংলা বনধ কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।
প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের কাণ্ডে হতবাক তার সহপাঠী এবং শিক্ষকরা
এই প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, অগণতান্ত্রিকভাবে ছাত্রদের উপর আক্রমণ করা হয়েছে। তাদের মেডিক্যাল এবং লিগ্যাল সহায়তা দেওয়ার জন্য আমরা তৈরি। পাশাপাশি এর প্রতিবাদে বুধবার ২৮ আগস্ট বাংলা বনধের ডাক দিল বিজেপি। সুকান্ত আরো বলেন, বিজেপির এটা আন্দোলন নয়। কিন্তু তৃণমূল সরকার যেভাবে প্রতিবাদ দমন করতে চাইছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, আগামী দিনে বিজেপিকে এই নবান্ন অভিযানের ডাক দিতে হবে। সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে রাজ্যজুড়ে বুধবার ২৮ আগস্ট বাংলা বনধ কর্মসূচির ডাক দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি এবং কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার।