সিউড়ির ইন্দ্রগাছা গ্রামের বামা কালী মা

ব্যুরো নিউজ, ৩১ অক্টোবর :কালীপুজোর সময় সোশ্যাল মিডিয়া যেন ভরে ওঠে এক বিশেষ দৃশ্যে—ইন্দ্রগাছার বামা কালীর শোভাযাত্রায় ভক্তদের কাঁধে চলছেন মা কালী, ঘন অন্ধকারে শ্যাম বর্ণা মাতৃমূর্তির ঝলক। চারপাশে হাজার মানুষের ভিড়, রাস্তার দুইধারে অনুগত ভক্তদের চেয়ে চেয়ে দেখা। রাতে মাঝপথে, ভক্তদের কাঁধে চলা বামা কালী কখনও নাচছেন, কখনও দুলছেন, যা দেখলে রোমাঞ্চ সৃষ্টি হয়।

কালীপুজোয় আনন্দে নষ্ট করবে কি বৃষ্টি ? জানুন রাজ্যের আবহাওয়ার পূর্বাভাস

অমাবস্যা রাতেই মায়ের চক্ষুদান

সিউড়ির ইন্দ্রগাছা গ্রামের এই বামা কালীর পুজো পাঁচশো বছরের ঐতিহ্য বহন করছে। এখানে মা কালীর গায়ের রং চক্ষুদানসহ সমস্ত শেষকাজ করা হয় অমাবস্যা রাতেই। ১৩ ফুটের বিশাল প্রতিমা রং করা হয় প্রথাগতভাবে। কাঠের আগুন থেকে পাওয়া ভুসোকালির মাধ্যমেই মায়ের গায়ের শ্যামবর্ণা রং করা হয়। বিশেষ লাল কাঠের ওপর ৪০ ফুট লম্বা কাঠামো বানিয়ে মাঝরাতে কাঁধে করে নিয়ে আসা হয় মূল মন্দিরে।

কালীপুজোর কোলাহল এড়িয়ে নিরিবিলিতে ঘুরে আসুন হাতিবাড়ির সবুজে!

বামা কালী পুজোয় মানত করে অনেকেই বলি দেন, যার সংখ্যা এক রাতেই ১০০ ছাড়িয়ে যায়। প্রতিমা নিরঞ্জনের দিন হয় ভাইফোঁটার সময়। সারা রাঢ় বাংলার মানুষের কাছে এই উৎসব শুধু পুজো নয়, এক মহামিলনও বটে।

এই পুজোর সূত্রপাত করেছিলেন সাধক রাম কানাই, যিনি মায়ের বিশেষ দর্শন লাভ করেন হরকুনার জঙ্গলে সাধনা করতে গিয়ে। তিনি মায়ের সেই রূপ থালায় এঁকে রেখে গেছেন। সেই অনন্য মূর্তি দেখে আজও তৈরি হয় মাটির প্রতিমা। রাম কানাইয়ের লেখা “রাম কানাইয়ের পুঁথি” আজও পূজার একটি অপরিহার্য অংশ। কথিত, রাম কানাই আরও এক গোপন পুঁথি রচনা করেছিলেন, যা আজও জনসাধারণের জন্য রহস্য হয়ে আছে।

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর