ব্যুরো নিউজ,২৫ সেপ্টেম্বর:বালুরঘাট হাসপাতালে বিজেপি নেত্রী মামণি বর্মণের মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। বিজেপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছে, পরিকল্পনা করে তাদের নেত্রীকে খুন করা হয়েছে। স্থানীয় বিজেপি নেতাদের দাবি, হাসপাতালের সুপারই মৃত্যুর জন্য দায়ী। এই ঘটনায় সঠিক তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন হাসপাতালের সুপার।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার রাতে মামণি বর্মণ পেটে ব্যথা নিয়ে বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে ভর্তি হন। তখন দায়িত্বে ছিলেন চিকিৎসক দেবাশিস বিশ্বাস। তিনি মামণির চিকিৎসা করেন এবং নার্সদের একটি ইঞ্জেকশন দেওয়ার নির্দেশ দেন। অভিযোগ, সেই ইঞ্জেকশন দেওয়ার পরেই মামণি আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন। মঙ্গলবার সকালে হাসপাতালেই তার মৃত্যু হয়।
হুগলিতে বন্যার জলে সাপের আতঙ্ক গ্রামবাসীরা
ভুল চিকিৎসার কারণে মৃত্যু
মৃত্যুর পর মামণির পরিবার অভিযোগ করেছে, ভুল চিকিৎসার কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে। তারা জানান, ওই ইঞ্জেকশনটি পরে প্রেসক্রিপশন থেকে কেটে ফেলা হয়েছে। মামণি ভাটপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের চক্রাম এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। নেত্রীর মৃত্যুর খবর পেয়ে হাসপাতালে আসেন দক্ষিণ দিনাজপুরের বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক বাপি সরকারসহ অন্য নেতারা।মামণি সোমবার বিকেলে মহিলা মোর্চার বালুরঘাট থানার অভিযান কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলেন। বাড়ি ফিরে তিনি হঠাৎ অসুস্থ বোধ করেন এবং পেটব্যথা শুরু হয়। জানা যায়, মামণি ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ছিলেন। দেবাশিস বিশ্বাস দাবি করেন, ভর্তি হওয়ার সময় তার সুগার লেভেল যথেষ্ট বেশি ছিল।মৃতের পরিবার ময়নাতদন্তের দাবি তুলেছে। বাপি সরকার অভিযোগ করেছেন, ‘মামণি পেটে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন, কিন্তু ১২ ঘণ্টা পরও কোনো চিকিৎসক তাকে দেখতে আসেননি। আমাদের নেত্রীকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমরা মনে করি, হাসপাতালের সুপার ও তৃণমূলের কিছু ডাক্তার ইচ্ছাকৃতভাবে এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত।’
জম্মু ও কাশ্মীরে দ্বিতীয় দফা বিধানসভা নির্বাচন আজ
বাপির অভিযোগের ভিত্তিতে সুপারের পদত্যাগ এবং তার বিরুদ্ধে তদন্তের দাবি উঠেছে। তিনি বলেছেন, ‘‘বালুরঘাট হাসপাতালে একাধিক রোগীর মৃত্যুর ঘটনার সঙ্গে এই সুপার জড়িত। হাসপাতালের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। ময়নাতদন্তের মাধ্যমে মৃত্যুর কারণ নির্ণয় করতে হবে।’’বালুরঘাট হাসপাতালের সুপার কৃষ্ণেন্দুবিকাশ বাগ বলেছেন, ‘‘আমি যতটুকু জানি, উনি যে ডাক্তারের অধীনে ছিলেন, তিনি নিয়ম মেনে চিকিৎসা করেছেন। যদি গাফলতি হয়ে থাকে তবে অবশ্যই তদন্ত হওয়া উচিত। ময়নাতদন্ত হচ্ছে এবং রিপোর্টটি উচ্চ আধিকারিকদের কাছে পাঠানো হবে। এ বিষয়ে রাজনীতি করার কোনো প্রয়োজন নেই। যে কোনো রোগীর মৃত্যুই দুঃখজনক, এবং আমরা একটি তদন্ত কমিটি গঠন করব।’’