ব্যুরো নিউজ,১৮ ডিসেম্বর:অযোধ্যার রাম মন্দির শুধুমাত্র একটি ধর্মীয় স্থাপনা নয় এটি ভারতীয় রাজনীতির অভিমুখ পাল্টে দেওয়া এক ঐতিহাসিক অধ্যায়। বিতর্ক, আন্দোলন, এবং একাধিক রাজনৈতিক সমীকরণের মধ্য দিয়ে গড়ে ওঠা এই মন্দির এবার জায়গা করে নিল গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে। দীপাবলির সময় রাম মন্দিরে আলোয় সাজানো ২৫ লক্ষ প্রদীপ এই স্বীকৃতি অর্জনের অন্যতম কারণ।
অবিকল বাঙ্গালীর আবেগ সুচিত্রা সেনের মতো দেখতে কে ইনি?
বিতর্ক থেকে গর্বের যাত্রা:
রাম মন্দিরের ইতিহাসে জড়িয়ে আছে বাবরি মসজিদ-বিতর্ক। ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর বাবরি মসজিদ ধ্বংস সেক্যুলার ভারতের জন্য একটি কালো অধ্যায় হিসাবে বিবেচিত। এরপর বছরব্যাপী চলা মামলা শেষ হয় সুপ্রিম কোর্টের রায়ে। ২০২৪ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজে রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠা করেন এবং মন্দিরের উদ্বোধন করেন। তবে মন্দির তৈরি হওয়া সত্ত্বেও এই ইস্যু রাজনীতির ময়দানে তুমুল প্রভাব বিস্তার করে চলেছে।বিরোধীদের অভিযোগ, শাসক দল রাম মন্দিরকে ব্যবহার করে রাজনৈতিক ফায়দা লোটার চেষ্টা করছে। ভূমি অধিগ্রহণ নিয়ে সাধারণ মানুষের অসন্তোষও ছিল। যদিও শাসক পক্ষ বারবার এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, রাম মন্দির ভারতের ভোট রাজনীতিতেও প্রভাব ফেলেছে।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় রবিচন্দ্রন অশ্বিনের
সকল বিতর্কের ঊর্ধ্বে উঠে রাম মন্দির ২০২৪ সালের দীপাবলিতে বিশ্ববাসীর নজর কাড়ে। মন্দির চত্বরে প্রায় ২৫ লক্ষ প্রদীপ প্রজ্জ্বলিত করা হয়, যা বিশ্বে সবচেয়ে বেশি প্রদীপ সাজানোর রেকর্ড। পাশাপাশি, ১১২১ জনের একযোগে প্রদীপ হাতে আলোকবৃত্ত তৈরির দৃশ্যও গিনেস কর্তৃপক্ষকে মুগ্ধ করেছে। উত্তরপ্রদেশ সরকারের এই আয়োজন আন্তর্জাতিক মঞ্চে প্রশংসিত হয়েছে।মন্দির তৈরি হওয়া নিয়ে যত বিতর্কই থাকুক না কেন, দীপাবলিতে আলোয় সাজানো রাম মন্দির গোটা দেশের জন্য গর্বের প্রতীক হয়ে উঠেছে। রাজনৈতিক এবং ধর্মীয় প্রসঙ্গ পেরিয়ে এই মন্দির আজ বিশ্বের দরবারে ভারতের ঐতিহ্য এবং ঐক্যের প্রতীক।রাম মন্দিরের গিনেস স্বীকৃতি কেবল একটি রেকর্ড নয়, এটি ভারতের ঐতিহ্য, বিশ্বাস এবং একাত্মতার উদাহরণ। আলোয় মোড়া মন্দির যেমন বিতর্কের ঊর্ধ্বে উঠে নতুন ইতিহাস তৈরি করেছে তেমনই এই স্বীকৃতি দেশের নাম উজ্জ্বল করেছে বিশ্বমঞ্চে।