ব্যুরো নিউজ,৮ ডিসেম্বর:নয়াদিল্লিতে তিন দিনব্যাপী অষ্টলক্ষ্মী মহোৎসব উদযাপিত হচ্ছে।এটি উত্তর-পূর্ব ভারতের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য তুলে ধরার এক অসাধারণ মঞ্চ। শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই মহোৎসবের উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে তিনি বিভিন্ন রাজ্যের প্যাভিলিয়ন পরিদর্শন করেন এবং কারিগরদের সঙ্গে কথা বলেন। উত্তর-পূর্ব ভারতের ঐতিহ্যবাহী পণ্য ও হস্তশিল্পের প্রচার এই মহোৎসবের অন্যতম উদ্দেশ্য।
রাজ্যসভায় তৃণমূল প্রার্থী ঋতব্রতঃ বিজেপির সমালোচনা ও পুরনো বিতর্ক ঘিরে উত্তাপ
ফ্যাশন শোতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের র্যাম্প ওয়াক
অষ্টলক্ষ্মী মহোৎসবের মূল আকর্ষণ ছিল একটি ফ্যাশন শো। শনিবার এই শোতে উত্তর-পূর্বের ঐতিহ্যবাহী পোশাকে র্যাম্পে হাঁটেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া এবং সুকান্ত মজুমদার। উভয়েই উত্তর-পূর্ব ভারতের জিআই পণ্য এবং প্রাণবন্ত ফ্যাশন তুলে ধরেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সিন্ধিয়া পোস্ট করেন, ‘উত্তর-পূর্ব ভারতের ঐতিহ্যবাহী শৈলী তুলে ধরা এই ফ্যাশন শো ছিল এক দারুণ অভিজ্ঞতা। প্রতিটি রাজ্যের শিল্পী ও মডেল তাদের সংস্কৃতিকে চমৎকারভাবে উপস্থাপন করেছেন।’ ভারতের আটটি উত্তর-পূর্ব রাজ্য অসম, অরুণাচল প্রদেশ, মেঘালয়, মণিপুর, নাগাল্যান্ড, মিজোরাম, ত্রিপুরা এবং সিকিম—‘অষ্টলক্ষ্মী’ নামে পরিচিত। এই রাজ্যগুলি সমৃদ্ধির প্রতীক এবং ভারতের সামাজিক-সাংস্কৃতিক কাঠামোর অবিচ্ছেদ্য অংশ।
সিরিয়ার পরিস্থিতি উত্তপ্তঃ দামাস্কাসে বিপদের আভাস, ভারতীয়দের জন্য সতর্কবার্তা
অষ্টলক্ষ্মী মহোৎসব উত্তর-পূর্ব ভারতের হস্তশিল্প, হস্তচালিত তাঁত, কৃষি পণ্য এবং পর্যটনের অর্থনৈতিক সম্ভাবনা প্রচার করতেই আয়োজিত। প্রতিটি রাজ্যের জন্য পৃথক প্যাভিলিয়ন রাখা হয়েছে যেখানে বিনিয়োগে আকৃষ্ট করার জন্য বিশেষ ইভেন্টের আয়োজন করা হয়। প্রধানমন্ত্রী মোদী এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক সম্ভাবনা এবং সাংস্কৃতিক সমৃদ্ধি তুলে ধরে উৎসবের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করেন।উৎসবটি সংস্কৃতি, সৃজনশীলতা এবং অর্থনৈতিক সম্ভাবনার এক অভূতপূর্ব উদযাপন হিসেবে ধরা হচ্ছে।
