ব্যুরো নিউজ, ২৩ নভেম্বর : বাংলার লোকসংস্কৃতির জগতে নক্ষত্রপতন। প্রয়াত হলেন বিখ্যাত কবি ও গীতিকার অরুণ চক্রবর্তী, যিনি কালজয়ী গান ‘লাল পাহাড়ির দেশে যা’-এর স্রষ্টা। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর।
রোগীমৃত্যুর জেরে বেহালা বিদ্যাসাগর হাসপাতালে ভাঙচুর, ব্যাপক উত্তেজনা
অনুরাগীরা তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে পারবেন

অরুণবাবু শারীরিকভাবে সুস্থ ছিলেন। শুক্রবার কলকাতার মোহরকুঞ্জে অনুষ্ঠিত জঙ্গলমহলের এক অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি। সেখান থেকে সামান্য ঠান্ডা লাগার সমস্যা শুরু হয়। যদিও করোনার পর থেকেই তার ফুসফুস দুর্বল ছিল। শুক্রবার গভীর রাতে চুঁচুড়ার ফার্ম সাইড রোডের বাড়িতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।তার মরদেহ চুঁচুড়া রবীন্দ্র ভবনে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে মুক্তমঞ্চে শায়িত থাকবে যেখানে শিল্পী ও অনুরাগীরা তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে পারবেন। শুক্রবারই শ্যামবাবুর ঘাটে তার শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।‘লাল পাহাড়ির দেশে যা, রাঙা মাটির দেশে যা’—গানটি বাংলার লোকগীতির এক অমূল্য সম্পদ। এই গান শুধু বাংলার মাটিতেই নয়, দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশেও জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিল। গানটির গীতিকার ছিলেন অরুণ চক্রবর্তী, আর সুর দিয়েছিলেন ঝুমুর শিল্পী সুভাষ চক্রবর্তী।অরুণবাবু বাংলার লোকসংস্কৃতি নিয়ে নিবিড় চর্চা করতেন। পাহাড়, জঙ্গল ও আদিবাসী এলাকার পরিবেশ তাঁকে বিশেষভাবে অনুপ্রাণিত করত। তার কবিতাগুলিও লোকগানের রূপ নিয়ে মানুষের মুখে মুখে ফিরেছে।
জোকা থেকে হাওড়াঃ মার্চে মেট্রো পরিষেবা চালু হতে পারে
অরুণ চক্রবর্তী শিবপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে পড়াশোনা শেষ করেন। কর্মজীবনে হিন্দুস্তান মোটরে চাকরি করতেন।তবে লেখালিখির প্রতি তার অগাধ ভালোবাসা ছিল। এই ভালোবাসাই তাকে বাংলা লোকগানের ইতিহাসে অমর করে রেখেছে।অরুণ চক্রবর্তীর সৃষ্টির ধারায় মিশে আছে বাংলার মাটির সুর। তার অবদান বাংলার লোকসংস্কৃতির আকাশে চিরকাল উজ্জ্বল হয়ে থাকবে।