ব্যুরো নিউজ ১১ নভেম্বর : মধ্য কলকাতার মুচিপাড়া এলাকায় বিশাল অস্ত্রভাণ্ডারসহ গ্রেপ্তার হয়েছেন মহম্মদ ইজরায়েল খান নামে এক পরিচিত অস্ত্র কারবারি। তার কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে তিনটি ওয়ান শটার, দুটি সেভেন এমএম পিস্তল ও ৯০টি বুলেট। সুরেন্দ্রনাথ কলেজের কাছে অস্ত্র পাচারের অভিযোগে কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ) তাকে গ্রেপ্তার করে। বিপুল অস্ত্র কোথায় বা কার কাছে পৌঁছানোর পরিকল্পনা ছিল তা নিয়ে তদন্ত চলছে। বিশেষ করে এই অস্ত্র বাংলাদেশে পাচার হওয়ার পরিকল্পনা ছিল কি না সেটাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের নতুন ‘মন্ত্রী’ঃ মাহফুজ, ফারুকি এবং বশিরউদ্দিনদের শপথ
পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক
ইজরায়েলের সঙ্গে অপরাধের সম্পর্ক পুরনো। তিনি ঝাড়খণ্ডের চাতরা জেলার বাসিন্দা হলেও বর্তমানে রাজাবাজারে পরিবার নিয়ে থাকেন। ২০১৪ সালে উত্তর কলকাতার সিঁথি এলাকায় ডাকাতি ঘটনায় ইজরায়েলের নাম উঠে আসে। সে সময় তাকে গ্রেপ্তার করা হলেও পরবর্তীতে মুক্তি পেয়ে আবারও শুরু করেন বেআইনি অস্ত্রের কারবার। পুলিশের নজরদারির মধ্যেও তিনি বারবার আটক হওয়ার পরও অপরাধ জগতে সক্রিয় ছিলেন।রবিবার ইজরায়েলকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে হাজির করা হলে সরকারি আইনজীবী জানান, বেআইনি অস্ত্রের কারবার দেশের নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছে। ইজরায়েলের সঙ্গে ‘টেরর লিঙ্ক’ বা জঙ্গিযোগ রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আরও কয়েকজনের নাম উঠে এসেছে যাদের গ্রেপ্তার করা প্রয়োজন। বিচারক ইজরায়েলকে ২০ নভেম্বর পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।
ওড়িশার বিরুদ্ধে মোহনবাগানের রুদ্ধশ্বাস ড্র, চোট-সঙ্কটে জয় অধরা
গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, মূলত বিহারের মুঙ্গের থেকে এই অস্ত্র সংগ্রহ করে সে। সেই মুঙ্গেরি রিভলভার ও পিস্তল কখনও সড়কপথে, কখনও রেলপথে কলকাতায় এনে চড়া দামে বিক্রি করে। বিশেষ করে আসন্ন উপনির্বাচনের আগে এ ধরনের অস্ত্র চোরাচালান আরও বেশি বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। সীমান্তবর্তী এলাকায় এজেন্ট মারফত এই অস্ত্র বাংলাদেশেও পাচার করা হয়, যেখানে চড়া দামে সেগুলি বিক্রি হয়। বাংলাদেশে জঙ্গিদের অস্ত্রের চাহিদা বাড়ায় এ ধরনের কারবার আরও সহজ হয়ে উঠেছে বলে মনে করছে পুলিশ।