ব্যুরো নিউজ ১৮ অক্টোবর : আরজি কর হাসপাতালে এক সপ্তাহের মধ্যে ছাত্র সংগঠনের অফিস সরানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের আগে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে ডাক্তারি পড়ুয়াদের পাশাপাশি হাসপাতালের অধ্যক্ষ মানস বন্দ্যোপাধ্যায়ও উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, এবং ছাত্র সংগঠনকে এক সপ্তাহের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়।
পূর্ব রেলের ট্রেনের সময়সূচি ও টিকিট বুকিংয়ে বড় পরিবর্তন, কি কি পরিবর্তন হল জেনে নিন ?
ফটোকপি সেন্টার থেকে হয়েগেছিল টিএমসিপি’ অফিস
সম্প্রতি আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুন করার ঘটনা সামনে আসার পর থেকেই হাসপাতালটিকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন অভিযোগ ও খবর বেরিয়ে আসে। হাসপাতালের মধ্যেই একটি ফটোকপি সেন্টার ছিল, যেখানে ডাক্তারি পড়ুয়ারা কম খরচে বই, নোট এবং নথিপত্রের জেরক্স করাতে পারতেন। কিন্তু হঠাৎই সেই ঘরটি টিএমসিপি’র ইউনিট অফিসে পরিণত হয়।তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের নাম এই ঘটনায় জড়িয়ে পড়ে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অবশেষে পদক্ষেপ করতে বাধ্য হয় এবং একটি বৈঠক করে টিএমসিপি’কে এক সপ্তাহের মধ্যে অফিস সরিয়ে ফেলতে নির্দেশ দেয়। তাদের জানানো হয়েছে, সময়সীমা শেষ হলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।আসলে ২০১২ সালে পড়ুয়াদের দাবির ভিত্তিতে হাসপাতালের অ্যাকাডেমিক বিল্ডিংয়ের গ্রাউন্ড ফ্লোরে ফটোকপি সেন্টার খোলা হয়েছিল। সেখানে ডাক্তারি পড়ুয়ারা সুলভে নথির ফটোকপি করতেন। কিন্তু অভিযোগ ওঠে, এক বছর আগে সন্দীপ ঘোষের ঘনিষ্ঠ কয়েকজন সদস্য জোর করে ওই ঘরটি দখল করে নিয়ে টিএমসিপি ইউনিটের অফিস তৈরি করেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে কেন জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে না? বামদের নতুন প্রশ্ন!
এই ঘটনার পর চিকিৎসক ও পড়ুয়াদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ তৈরি হয়েছিল। তবে ভয়ের কারণে তারা প্রকাশ্যে কিছু বলতে পারছিলেন না। এখন সন্দীপ ঘোষ জেলে থাকায়, ওই ভয়ের অবসান ঘটেছে এবং জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন তীব্র আকার ধারণ করেছে।
