ব্যুরো নিউজ,১৮ ডিসেম্বর:বাঙালির হৃদয়ে অমর হয়ে আছেন মহানায়িকা সুচিত্রা সেন। তাঁর বাঁকা হাসি আর মোহময়ী চাউনি আজও আপামর বাঙালিকে মুগ্ধ করে। হঠাৎ সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় তুলেছে অভিনেত্রী আরাত্রিকা মাইতির একটি সাদাকালো ছবি। চোখে হালকা কাজল, ঠোঁটে মিষ্টি হাসি— মুহূর্তে ছবিটি অনেকের মনে সুচিত্রা সেনের স্মৃতি ফিরিয়ে এনেছে।দিন কয়েক আগে নিজের ফেসবুকে ছবিটি শেয়ার করেন আরাত্রিকা। ক্যাপশনে মাত্র একটি শব্দ— “এমনি।” কিন্তু তার ধারণাও ছিল না যে ছবিটি এভাবে সবার মন কেড়ে নেবে। সোমবার রাতে পরিচালক রাজর্ষি দে ছবিটি নিজের ফেসবুকে পোস্ট করেন। ক্যাপশন লিখেছিলেন, “এই হাসিতেই শান্তি।” পোস্টটি ভাইরাল হতে সময় লাগেনি।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় রবিচন্দ্রন অশ্বিনের
ছবির রহস্য:
তাকে এই ছবিটির ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, “মিঠিঝোরার শুটিং শেষে বাড়ি ফিরে রেট্রো স্টাইলে চোখ এঁকেছিলাম। সাদাকালো ছবি তোলার শখ থেকেই সেলফিটা তুলেছিলাম। বিশেষ কোনও উদ্দেশ্য ছিল না। তবে ছবিটি যে এভাবে জনপ্রিয় হবে, তা ভাবিনি।” আরাত্রিকার পছন্দের তালিকায় রয়েছেন বাংলা সিনেমার স্বর্ণযুগের নায়িকারা। সুচিত্রা সেনের সব ছবিই তার প্রিয়। বিশেষ করে “দেওয়া-নেওয়া” আর “সপ্তপদী” বহুবার দেখেছেন। রিনা ব্রাউন চরিত্রটি তার পছন্দের শীর্ষে। আরাত্রিকা আরও বলেন, “আমি তো নগণ্য, ওঁনাকে নিয়ে কিছু বলার যোগ্যতাও নেই। তবে স্বর্ণযুগের বাংলা ছবির প্রতি একটা আকর্ষণ আমার সবসময়ই রয়েছে।” রাজর্ষি দে-র পোস্ট দেখে প্রথমে চমকে যান আরাত্রিকা। তিনি বলেন, “প্রথমে ভেবেছিলাম রাজর্ষিদা হয়তো ভুল করে ছবিটি শেয়ার করেছেন। পরে যখন দেখলাম সবাই এত প্রশংসা করছে, তখন বুঝলাম ছবিটি সত্যিই সবার ভালো লেগেছে।
৯৭তম অস্কারের সংক্ষিপ্ত তালিকা প্রকাশঃ হতাশ করল ভারতীয় সিনেমাপ্রেমীদের
যদি কখনও সুচিত্রা সেনের চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ আসে, তা হলে কী করবেন? উত্তরে আরাত্রিকা বলেন, “এটা প্রত্যেক অভিনেত্রীর জন্য একটা আশীর্বাদ এবং বড় চ্যালেঞ্জ। মহানায়িকার মতো আইকনিক ব্যক্তিত্বকে পর্দায় ফুটিয়ে তোলা সহজ কাজ নয়। আমরা কেউই ওঁনার মতো নই। তবে সুযোগ পেলে অবশ্যই চেষ্টা করব।” সুচিত্রা সেনের মতো মহানায়িকার ছায়ায় নিজেকে দেখতে পাওয়া একদিকে যেমন গর্বের, তেমনই ভীষণ বড় দায়িত্বের। আরাত্রিকার এই ছবি আপাতত সোশ্যাল মিডিয়ার নতুন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু।
