ব্যুরো নিউজ,২০ সেপ্টেম্বর:২০০৮ সালে ‘রব নে বানা দি জোড়ি’ সিনেমার মাধ্যমে বড় পর্দায় আত্মপ্রকাশ করেন অনুষ্কা শর্মা। তখন তার বয়স ছিল মাত্র ১৭ বছর। খুব অল্প বয়সে অভিনয় ক্যারিয়ার শুরু করার পাশাপাশি তিনি মডেলিংও করেছেন। তার ফলস্বরূপ, অনুষ্কা অন্যদের তুলনায় নিজেকে একটু বেশি সুন্দরী মনে করতে শুরু করেছিলেন। তবে, প্রযোজক আদিত্য চোপড়ার সঙ্গে দেখা হওয়ার পর যেন সবকিছু পালটে যায়।
কানাডার নতুন অভিবাসন নীতিতে বিদেশী শিক্ষার্থীদের সংখ্যা কমানোর ঘোষণা
অনুষ্কার অহঙ্কার এক ঝটকায় ভেঙে যায়
অনুষ্কার মতে, আদিত্য চোপড়া এমন একজন ব্যক্তিত্ব যিনি সবসময় সত্তিতা মুখের ওপর বলেন।তবে তিনি বরাবরই মিতভাষী।যখন অনুষ্কা প্রথমবার ‘রব নে বানা দি জোড়ি’ সিনেমার প্রস্তাব পান, তখন আদিত্য তাকে কিছু শর্ত দেন। তিনি বলেন, এই সিনেমা নিয়ে যাতে অনুষ্কা কাউকে কিছু না বলে। এমনকি তার বাবা-মা-ও যেন এই ছবির কথা না জানেন। এই কড়া নির্দেশ শুনে অনুষ্কা খুবই অবাক হয়েছিলেন।এর পাশাপাশি, আদিত্য একটি গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেন, ‘তুমি ছবিটি করছ ঠিকই, কিন্তু মনে রেখো তুমি সবথেকে সুন্দরী নও।’ এই মন্তব্যে অনুষ্কার অহঙ্কার এক ঝটকায় ভেঙে যায়। তিনি নিজের সৌন্দর্য নিয়ে গর্বিত থাকলেও, আদিত্যর কথায় তিনি বুঝতে পারেন যে সত্যি সত্যি প্রতিভা ও কর্মক্ষমতা সবকিছুর ওপর।
আদালতের হস্তক্ষেপে কলতান দাশগুপ্তের জামিন ও তদন্তের নয়া নির্দেশ
অনুষ্কা বলেন, ‘স্কুলে আমি আমার রূপের অহংকারে কখনও কারো সঙ্গে কথা বলতাম না। তবে আদিত্য আমার সেই ভ্রম ভাঙিয়ে দিলেন।’ এই অভিজ্ঞতা তাকে আরও গ্রাউন্ডেড হতে সাহায্য করে এবং অভিনয়ের প্রতি তার দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তিত হয়।আজকের অনুষ্কা শর্মার শুরু সেখান থেকেই। তিনি প্রমাণ করেছেন, প্রতিভা ও শ্রমের মাধ্যমে কীভাবে একজন অভিনেত্রী নিজের অবস্থান তৈরি করতে পারেন। আদিত্য চোপড়ার ওই নির্ভীক মন্তব্য তাকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছে যে, সৌন্দর্য গুরুত্বপূর্ণ হলেও, অভিনেত্রী হিসেবে সফল হতে হলে প্রতিভা ও কাজের প্রতি নিবেদনই মূল চাবিকাঠি।