ব্যুরো নিউজ,২৬ নভেম্বর:কয়লা পাচার কাণ্ডে প্রায় ২ বছর জেলবন্দি থাকলেও তৃণমূল কংগ্রেসের বীরভূম জেলা সভাপতি পদ থেকে অনুব্রত মণ্ডলকে সরানো হয়নি। তবে, গত সেপ্টেম্বর মাসে জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার পর অনুব্রত বোলপুরে ফিরে আসেন।এই নিয়ে সৃষ্টি হয়েছিল নানা ধরনের বিভ্রান্তি। কারণ, তার মুক্তির পর তৃণমূলের কোর কমিটি গঠন করা হয়েছিল বীরভূম জেলার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য, আর এই বিষয়টি নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়েছিল। অনেকেই ভাবছিলেন, তাহলে কি কেষ্টর (অনুব্রত মণ্ডল)হাতে থাকবে কোর কমিটির জেলা তৃণমূলের দায়িত্ব?
আদানি ঘুষ কাণ্ডে বড় পদক্ষেপঃ অন্ধ্রপ্রদেশ সরকার চুক্তি খতিয়ে দেখছে
অনুব্রত মণ্ডলের নেতৃত্বকে গুরুত্ব দেওয়া হবে
এবার, যাবতীয় বিতর্কের অবসান ঘটিয়ে তৃণমূলের দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট ঘোষণা করলেন যে, বীরভূমে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বে থাকবেন অনুব্রত মণ্ডলই। সোমবার কলকাতায় দলের কর্মসমিতির বৈঠক শেষে মমতা এই ঘোষণা করেন। তার বক্তব্য, কেষ্ট বীরভূমের জেলা সভাপতি। পদাধিকারবলে কোর কমিটিসহ জেলার সমস্ত কমিটির চেয়ারম্যানও তিনি। এর মাধ্যমে মমতা দলের কার্যক্রম পরিচালনায় অনুব্রতের ভূমিকা স্পষ্ট করে দিলেন।এদিন মমতা বলেন, জেলা তৃণমূলের কর্মসূচি কোর কমিটির সঙ্গে বৈঠক করে ঠিক করতে হবে, তবে জেলার মূল নেতৃত্ব থাকবে অনুব্রত মণ্ডলের হাতে। এর ফলে, যে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছিল বীরভূমে দলের কার্যক্রম নিয়ে, তা এখন শেষ হয়ে গেছে।
প্রথম আলোর বিরুদ্ধে বিক্ষোভঃ সরকার বিরোধী অবস্থানে চরম উত্তেজনা
তবে, তৃণমূলের কোর কমিটিতে সম্প্রতি অনুব্রত মণ্ডলকে সদস্য করা হয়েছিল, যা নিয়ে কিছু প্রশ্ন ওঠে। বিশেষত, তখন প্রশ্ন উঠেছিল, কোর কমিটির সদস্যদের সঙ্গে অনুব্রত মণ্ডলের ক্ষমতা সমান হবে কিনা। তবে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যে এটা পরিষ্কার হয়ে গেছে যে, কোর কমিটি কাজ করবে দলের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য, কিন্তু নেতৃত্ব থাকবে অনুব্রত মণ্ডলের হাতেই।এখন, বীরভূম জেলা তৃণমূলের ভবিষ্যত কার্যক্রম নিয়ে আর কোনো বিভ্রান্তি নেই। দলের সবাই একত্রে কাজ করবেন, তবে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে অনুব্রত মণ্ডলের নেতৃত্বকে গুরুত্ব দেওয়া হবে।
