ব্যুরো নিউজ,২৪ সেপ্টেম্বর:দু বছরের বেশি সময় পরে অবশেষে বীরভূমে ফিরলেন তৃণমূলের প্রাক্তন জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তিনি আসানসোল সংশোধনাগার এবং তারপর প্রায় দেড় বছর তিহাড় জেলে বন্দি ছিলেন। মুক্তির পর তিনি তার মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলের সঙ্গে সোমবার রাতের বিমানে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেন। মঙ্গলবার ভোরে কলকাতায় পৌঁছানোর পর, দমদম বিমানবন্দর থেকে সোজা বীরভূমের উদ্দেশে রওনা দেন। তার সঙ্গে ছিলেন তার মেয়ে সুকন্যা এবং অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ আরও কয়েকজন নেতা।
হাসপাতালগুলোর নিরাপত্তা ব্যবস্থায় নতুন উদ্যোগ
দলীয় কর্মী এবং সমর্থকদের ভিড়
আজ সকাল ৯টার দিকে তিনি বর্ধমান হয়ে বোলপুরের লিচুপট্টির বাড়িতে ফিরে আসেন। অনুব্রতের প্রত্যাবর্তনের জন্য সকাল থেকে বোলপুরের বাড়ির সামনে দলীয় কর্মী এবং সমর্থকদের ভিড় জমা হতে থাকে। ধীরে ধীরে সেই ভিড় বৃদ্ধি পায়। বাড়িতে প্রবেশের সময় অনুব্রতর চোখে জল দেখা যায়। দলের কার্যালয়ে বসে কথা বলতে গিয়ে তিনি একটি সময় কেঁদে ফেলেন।বীরভূমে ফেরার পথে, বর্ধমান পার করে একটি জায়গায় গাড়ি কিছুক্ষণের জন্য থামে। সেখানে গাড়ির কাচ নামিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন অনুব্রত। তিনি শারীরিক সমস্যার কথা জানান এবং পায়ে ও কোমরে ব্যথার কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘আমি আদালতকে সম্মান করি, আইন মেনে চলি।’ এছাড়াও তিনি বলেন, ‘দিদির জন্য আছি, বরাবরই থাকব।’ মুখ্যমন্ত্রী এবং গোটা রাজ্যের জনগণের জন্য শারদীয়ার শুভেচ্ছাও জানান তিনি।অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারির পর, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘কেষ্টকে বীরের সম্মান দিয়ে ফিরিয়ে আনব।’ মমতার আজ মঙ্গলবার বীরভূমে প্রশাসনিক কর্মসূচি রয়েছে। বিভিন্ন জেলায় বন্যা পরিস্থিতির কারণে বীরভূমে প্রশাসনিক বৈঠক করার পরিকল্পনা রয়েছে তার।রাজনৈতিক মহলে আলোচনা চলছে, মুখ্যমন্ত্রীর সাথে কি অনুব্রতের দেখা হবে? অনুব্রতকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে, তিনি বলেন, শরীর ভালো থাকলে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা হবে।
পুজোর আগে ত্বকের জেল্লা বাড়ানোর জন্য হাইড্রা ফেসিয়াল করাবেন কি না ভাবছেন ? এই নিয়মগুলি মানতে হবে
২০২২ সালের ১১ অগস্ট গরু পাচার মামলায় সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হন অনুব্রত। সেই দিন ছিল রাখি পূর্ণিমা। প্রথমে তিনি আসানসোল সংশোধনাগারে ছিলেন এবং পরে গরু পাচার সংক্রান্ত মামলায় ইডি-ও তাকে গ্রেফতার করে। গত সপ্তাহে তার জামিন মঞ্জুর হলেও আইনি প্রক্রিয়ার কারণে কিছু বিলম্ব হয়, কিন্তু সোমবার রাতে তিনি তিহাড় থেকে মুক্ত হন।অনুব্রতের জামিন নিশ্চিত হতেই বীরভূমের লিচুপট্টি এলাকায় উৎসবের আবহ তৈরি হয়। দুই বছর দুর্গাপুজো তিনি বাড়িতে ছিলেন না, কিন্তু এবার পুজোর আগেই বোলপুরের বাড়িতে ফিরলেন। জামিন পাওয়ার পর, তার বাড়িতে রং করার কাজ, ঝাড়পোঁছ এবং আগাছা সাফাই শুরু হয়ে যায়।