অঞ্জনেয়াসন

ব্যুরো নিউজ,১৫ ফেব্রুয়ারি :হাঁটুর ব্যথা অনেকেরই একটি সাধারণ সমস্যা। হাঁটু মুড়ে বসতে কিংবা সিঁড়ি ভাঙতে সমস্যা অনুভব করলে জীবনযাত্রা অনেকটাই প্রভাবিত হয়। অনেকেই মনে করেন, এই সমস্যার সমাধান শুধুমাত্র ওষুধ কিংবা সেঁকই। কিন্তু যোগের কিছু আসনও এই সমস্যার সমাধানে সাহায্য করতে পারে। তাদের মধ্যে অন্যতম একটি আসন হল অঞ্জনেয়াসন। নিয়মিত অঞ্জনেয়াসন অভ্যাস করলে হাঁটুর ব্যথা অনেকটাই কমানো সম্ভব।

কাজের চাপ দূর করার সহজ এবং কার্যকরী উপায় এই আসন

নামকরণ

অঞ্জনেয়াসনের নামকরণ রামায়ণের অঞ্জনা বা হনুমানের মায়ের নামে। এটি দেখতে অনেকটা চাঁদের মতো এবং তাই একে “ক্রিসেন্ট মুন পোজ়” বা “লো লাঞ্জ পোজ়” নামেও ডাকা হয়। এটি একটি সহজ এবং কার্যকর যোগাসন, যা আপনার শরীরের নিম্নাংশের শক্তি বাড়াতে এবং ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।

কীভাবে করবেন অঞ্জনেয়াসন?

১. প্রথমে একটি যোগ ম্যাটের উপর সোজা হয়ে দাঁড়ান। দুই পায়ের মধ্যে যথেষ্ট দূরত্ব রাখুন এবং হাতটি কোমরে রাখুন।

২. এরপর, ডান পায়ের পাতা ৯০ ডিগ্রি কোণে ডানদিকে ঘুরিয়ে রাখুন। পুরো শরীরটাকেও ডান দিকে ঘুরিয়ে নিন।

৩. এবার ডান হাঁটু ভাঁজ করে শরীরটাকে মাটির দিকে নামিয়ে আনুন। ডান পায়ের পাতা মাটিতে থাকবে।

৪. শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে বাঁ পা পিছনে প্রসারিত করুন, এর উপরের অংশ মাটি স্পর্শ করবে এবং পায়ের পাতাটি ছাদের দিকে তাকাবে।

৫. শ্বাস নিতে নিতে দু’টি হাত মাথার উপরে তুলে রাখুন এবং দুই হাতের তালু একসঙ্গে প্রণামের ভঙ্গিতে রাখুন।

৬. শরীরের উপরের অংশ যতটা সম্ভব পিছনে হেলিয়ে দিন। দেহের ভার মূলত বাঁ পায়ের উপর থাকবে। এই অবস্থানে ৩০ সেকেন্ড থাকুন এবং শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক রাখুন।

৭. এরপর, পূর্বের অবস্থানে ফিরে আসুন এবং কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে অন্য পায়ে একইভাবে আসনটি করুন।

হজমের সমস্যা থেকে মুক্তির একমাত্র উপায় এই আসন। নিয়মিত করুন ফল পাবেন

কেন করবেন অঞ্জনেয়াসন?

এই আসনটি একাগ্রতা এবং মানসিক শান্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। উদ্বেগ ও মানসিক চাপ কমাতেও এটি কার্যকর। পাশাপাশি সায়াটিকা বা স্নায়ুজনিত ব্যথাও উপশম করে। মেরুদণ্ডের নমনীয়তা বজায় রাখে এবং শরীরের নিম্নাংশকে শক্তিশালী করে। মহিলাদের জন্য ঋতুচক্রের ব্যথাও কমায়। নিয়মিত অঞ্জনেয়াসন অভ্যাস করলে শরীরের ভারসাম্যও বজায় রাখা সহজ হয়।

সতর্কতা:

যারা হাঁটু, কোমর বা অস্থিসন্ধির কোনো আঘাত বা ব্যথায় ভুগছেন, তাদের জন্য এই আসন করা এড়িয়ে চলা উচিত। এছাড়া, ক্লান্ত অবস্থায় এই আসন না করার পরামর্শ দেওয়া হয়, কারণ এতে শরীরের ভারসাম্য বিঘ্নিত হতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর