ব্যুরো নিউজ , ১৬ ফেব্রুয়ারি:প্রেম দিবসের পর বিনোদন দুনিয়ায় ফের বিচ্ছেদের খবর ছড়াল। গত ১৮ আগস্ট, সমাজমাধ্যমে শিল্পী ও লেখিকা মধুজা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন, তিনি ও তাঁর স্বামী, পরিচালক-গায়ক-অভিনেতা অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়ের ১৯ বছরের দাম্পত্য জীবন শেষ করেছেন।
আপনার তোয়ালের নরম ভাব আর নেই নতুনের মতো ? কি করলে দীর্ঘদিন তোয়ালে থাকবে তুলতুলে নরম জানুন
আরজি কর-কাণ্ড
তখনই তিনি জানিয়েছিলেন, গত ১৪ বছর ধরে একসঙ্গে লড়াই করার পর তিনি ক্লান্ত, এবং ২০১৯ সালে কলকাতা ছেড়ে মুম্বইয়ে চলে গিয়েছিলেন। সঙ্গী ছিলেন তাঁদের একমাত্র সন্তান জুজু।তবে, এই দম্পতির বিচ্ছেদ এবার আইনি সিলমোহর পেতে চলেছে। খবর অনুযায়ী, আগামী সপ্তাহেই তারা আইনি বিচ্ছেদ নেবেন।
গত আগস্টে কলকাতায় আরও এক বড় ঘটনা ঘটেছিল – আরজি কর-কাণ্ডে শহরবাসীরা উত্তাল হয়েছিল। সেই সময় মধুজা সমাজমাধ্যমে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গানের পঙ্ক্তি দিয়ে জানান, “মিলনমালার আজ বাঁধন তো টুটবে, ফাগুন দিনের আজ স্বপন তো ছুটবে।” তিনি তখন জানিয়েছিলেন যে তিনি আর অনিন্দ্য একে অপরের কাছ থেকে দূরে সরে গেছেন এবং তা সম্ভবত তাদের সম্পর্কের প্রকৃত অবস্থান বুঝতে সাহায্য করেছে।
আশা ভোঁসলেঃ ‘গান ছাড়া জীবন ভাবতে পারি না, আমার শেষ ইচ্ছা গাইতে গাইতে মরতে চাই’
তবে বিচ্ছেদের পরও, দম্পতি তাঁদের সন্তানকে নিয়ে কিছু সময় কাটিয়েছিলেন, সম্ভবত মিটমাটের ভাবনা থেকেই। কিন্তু পরবর্তী সময়ে মধুজা জানিয়েছেন, সেই মিলন সাময়িক ছিল। বিচ্ছেদের অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে মধুজা লিখেছিলেন, “অনিন্দ্য খুব কষ্ট পেয়েছে, পেয়েছি আমিও। তবে সত্যটা মেনে নিয়ে কোথাও একটা নির্ভারও হয়েছি। অনিন্দ্য আর আমি তাই আইনি পথে বিচ্ছেদে পা বাড়িয়েছি। বিচ্ছেদ বিয়ের হয়েছে! জুজুর বাবা-মায়ের হয়নি।”এটা স্পষ্ট যে, তাঁরা একযোগে তাদের সন্তানের দেখভাল করবেন, এবং সন্তানকে স্নেহ ও যত্ন দিয়ে বড় করবেন।