ব্যুরো নিউজ,১৯ নভেম্বর:বাংলাদেশে সম্প্রতি সরকার পরিচালনায় যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, তাতে আমেরিকা স্পষ্টভাবেই নিজেদের অবস্থান জানিয়ে দিয়েছে। ইউনুস সরকারের ১০০ দিন পূর্ণ হওয়ার পর থেকে দেশে পরিস্থিতি ক্রমেই অবনতি হয়েছে, এবং আমেরিকা এই অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। আমেরিকা বলেছে, তারা কোনোভাবেই বাংলাদেশ সরকারের দমনমূলক নীতিকে সমর্থন করবে না। মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ দমন এবং সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের বিষয়ে প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ‘আমরা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছি, শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদকে দমন করা কোনো সরকারই সমর্থন করতে পারে না। বাংলাদেশের সরকারকে আমরা আবেদন জানাই, তারা যেন শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোরতা না দেখায়।’
পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ এবং তৃণমূলের সম্পর্ক নিয়ে উত্তপ্ত বিতর্কঃ সৌমিত্র খাঁর তীব্র অভিযোগ
মানবাধিকার রক্ষা
এমনকি গত ৫ নভেম্বর বাংলাদেশের চট্টগ্রামে একটি ফেসবুক পোস্ট নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছিল। সেখানে এক স্থানীয় ব্যবসায়ী ইসকন ধর্মীয় সংস্থাকে ‘জঙ্গি সংগঠন’ বলে অভিহিত করেছিলেন। এই পোস্টের পর চট্টগ্রামে হিন্দুদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়, যা দাঙ্গা্র রূপ নেয়। পুলিশ ও সেনা বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নামে এবং প্রায় ১০০ জনকে গ্রেফতার করা হয়। তবে এর পর সেনা বাহিনীর বিরুদ্ধে অত্যাচার চালানোর অভিযোগও ওঠে এবং একটি সিসিটিভি ফুটেজে সেনার জওয়ানদের তাণ্ডব চালাতে দেখা যায়। যদিও এই ফুটেজের সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি।বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ দীর্ঘদিন ধরেই চলছিল, বিশেষ করে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর থেকে। অনেক জায়গায় ধর্মীয় সহিংসতা ও সংখ্যালঘুদের প্রতি বৈষম্যের প্রতিবেদন সামনে এসেছে। আওয়ামী লীগের শাসনের পর হিন্দুদের দোকান, বাড়ি ও মন্দিরে হামলা হয়েছে এবং তাদের খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এছাড়া ধর্মান্তকরণ এবং উচ্চপদস্থ হিন্দু কর্মকর্তাদের পদত্যাগে বাধ্য করার অভিযোগও রয়েছে। দুর্গাপুজোর সময়ও বিভিন্ন জায়গায় মন্দিরে প্রতিমা ভাঙার ঘটনা ঘটেছিল।এ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা ও মানবাধিকার নিয়ে আরো আন্তর্জাতিক সমালোচনা হতে পারে। আমেরিকার সদর্থক বার্তা নিশ্চিতভাবেই বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে একটি বড় পরিবর্তন আনতে পারে, বিশেষ করে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ ও মানবাধিকার রক্ষায় সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে।