এস জয়শঙ্কর

ব্যুরো নিউজ,২৩ ফেব্রুয়ারি :ভারতে ভোটারদের বুথমুখী করতে আমেরিকার দেওয়া ১৮২ কোটি টাকার (২ কোটি ১০ লক্ষ ডলার) অনুদান নিয়ে বিতর্ক থামছে না। এই অনুদান নিয়ে ভারত সরকারের বক্তব্য, আমেরিকার আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (ইউএসএইড) এই অর্থ সরল বিশ্বাসে ব্যবহার করার অনুমতি পেয়েছিল। তবে, ট্রাম্প প্রশাসনের কিছু মন্তব্য পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলেছে বলে জানিয়েছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। শনিবার দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে এক সাহিত্য উৎসবে অংশগ্রহণের সময়, তিনি আমেরিকার এই অনুদান প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেন।

ভারতে ভোটের হার বৃদ্ধির জন্য আমেরিকার ১৮২ কোটি টাকার অনুদান প্রসঙ্গে ট্রাম্পের বিতর্কিত মন্তব্য

উদ্বেগজনক

ভারতের বিদেশমন্ত্রী বলেন, “ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকর্তারা কিছু তথ্য প্রকাশ করেছেন, যা সত্যিই উদ্বেগজনক। আমার মনে হয়, কিছু মানুষ একটি নির্দিষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করার চেষ্টা করছেন। একটি দেশের ক্ষমতাসীন সরকার হিসেবে আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। এবং সত্যটা প্রকাশ্যে আসবেই।” তিনি আরো বলেন, “আমরা ইউএসএইড-এর সঙ্গে কাজ করি, এটা অস্বীকার করার কিছু নেই। বছরের পর বছর ধরে এই সংস্থা ভারতে কাজ করছে। কিন্তু তাদের কাজ সরল বিশ্বাসে এবং ভাল উদ্দেশ্যে করা হয়েছিল। এখন অভিযোগ উঠছে যে, আমেরিকার অনুদান খারাপ কাজে ব্যবহার হয়েছে। সুতরাং, বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখা দরকার। যদি এই অভিযোগ সত্যি হয়, তবে দেশের জনগণের অধিকার রয়েছে এটি জানার, এবং যাঁরা খারাপ কাজে জড়িত, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।”

এরই মধ্যে, গত রবিবার ইলন মাস্কের নেতৃত্বে আমেরিকার সরকারি দক্ষতা বিষয়ক দফতর ১৮২ কোটি টাকার অনুদান বাতিল করে দেয়। এই অনুদান ভারতে ভোটের হার বৃদ্ধি করার জন্য দেওয়া হচ্ছিল বলে জানা যায়। ট্রাম্প প্রশাসন দাবি করেছে, তাদের পূর্ববর্তী সরকার, জো বাইডেনের নেতৃত্বের সময়, ভারতকে এই অনুদান দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। তবে, ট্রাম্প প্রশাসন মনে করে, ভারতের ভোটের হার বৃদ্ধির জন্য এই ধরনের অনুদানের কোনো প্রয়োজন নেই। ট্রাম্প তার বক্তব্যে বলেন, “ভারতে ভোটের হার বাড়ানোর জন্য ২.১০ কোটি ডলার পাঠানো হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর কাছে! কিন্তু কেন আমরা এই টাকা ভারতকে দেব? আমাদের দেশেরও তো ভোটের হার বাড়ানোর প্রয়োজন।”

ভাইরাস ও ব্যাক্টেরিয়া থেকে বাঁচতে প্রয়োজনীয় কি কি টিকা নেবেন জেনে নিন। রইল ডাক্তারদের পরামর্শ

ট্রাম্পের এই মন্তব্যের পর, ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল একটি বিবৃতি দেন। তিনি বলেন, “সম্প্রতি মার্কিন প্রশাসন তহবিল সম্পর্কিত কিছু তথ্য প্রকাশ করেছে, যা আমাদের নজরে এসেছে। এটা ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশি হস্তক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, যা উদ্বেগজনক।” তিনি আরো জানান, এই বিষয়টি মোদী সরকার গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করছে।এদিকে, ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করও এ বিষয়ে মুখ খুলেছেন এবং নিশ্চিত করেছেন যে, সরকারের পক্ষ থেকে এই বিষয়টি গভীরভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর