ব্যুরো নিউজ,৩ জুলাই :মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশে সরকারি জায়গায় জবরদখলকারীদের উচ্ছেদ করতে গিয়ে এবার এটা কি হলো? পূর্ব মেদিনীপুরের তাজপুরে সমুদ্র সংলগ্ন বন দপ্তরের জায়গায় অবৈধ দোকান উচ্ছেদ করতে গিয়ে ফরেস্ট অফিসার মনীষা সাউ পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগরের বিধায়ক এবং কারামন্ত্রী অখিল গিরির হুমকির মুখে পড়লেন।বনদপ্তরের ওই জায়গায় তাজপুরের সমুদ্র সৈকতে দীর্ঘদিন ধরেই বেশ কিছু দোকান ছিল। কিন্তু সমুদ্রের গ্রাসে তা জলের অতলে তলিয়ে যায়। ফের শুক্রবার রাতে ব্যবসায়ীরা ওখানে দোকান তৈরি করতে গেলে ফরেস্ট অফিসার মনীষা সাউ বাধা দেন। সেখানে অবৈধভাবে দোকান করা যাবে না বলে তিনি জানান। আর এর পরেই ওই জায়গায় উপস্থিত হন রামনগরের বিধায়ক এবং রাজ্যের কারামন্ত্রী অখিল গিরি।
কীভাবে হুমকি দিলেন কারামন্ত্রী?
ওই মহিলা ফরেস্ট বিট অফিসারকে রীতিমতো আঙুল নাচিয়ে হুমকি দিয়ে অখিল গিরি বলেন, বেশি বাড়াবাড়ি করবেন না। আপনার আয়ু আর খুব বড়জোর ৭-৮ দিন…. তার মধ্যেই আপনার ব্যবস্থা হয়ে যাবে। সবাইকে নিয়ে চলার চেষ্টা করুন, না হলে থাকতে পারবেন না। সরকারের আন্ডারে কাজ করেন।মাথা নিচু করে কথা বলুন। পাল্টা ওই মহিলা বিট অফিসার মনীষা বলেন, আমার কারো সঙ্গে শত্রুতা নেই। আমি আমার ডিউটি করতে এসেছি।এরপর অখিল বলেন, বেশি বাড়াবাড়ি করলে এখান থেকে আর ফিরে যেতে পারবেন না। মেরে ঠ্যাং ভেঙে দেওয়া হবে। আপনাদের ফরেস্ট ডিপার্টমেন্টে কি দুর্নীতি হয়.. সব জানি, ঐসব বিট অফিসার ফরেস্ট অফিসার.. ওসব দেখাবেন না। জানোয়ার, বেয়াদপ.. এরকম মহিলা অফিসার জীবনে দেখিনি।
সৌরভ গাঙ্গুলীর নামে বহু অভিযোগ জমা পরলো থানায় কারা করল এবং কেনই বা করল এই অভিযোগ
বিধানসভায় আপনাদের দুর্নীতির কথা ফাঁস করবো।কারামন্ত্রী অখিল গিরির এই ব্যবহার সামনে আসতেই রীতিমতো তোলপাড়। বিজেপির মুখ্য সচেতক শঙ্কর ঘোষ বলেন, এটাই তৃণমূলের দলীয় শিক্ষা। বিধানসভায় ওনাকে অনেকবার দেখেছি। উনি এরকম ব্যবহারই করে থাকেন। মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, বিষয়টা সম্বন্ধে কিছু জানি না। অখিল গিরির সঙ্গে যারা ছিলেন তাদেরকেও দেখা যায় ওই মহিলা অফিসারকে হুমকি দিতে।বিরোধী দলের তরফে সমালোচনা করা হয়েছে।