ব্যুরো নিউজ,৫ আগস্ট:শেষমেষ পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিলেন কারামন্ত্রী অখিল গিরি। মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশের পরেই পদত্যাগের ঘোষণা করলেন তিনি। তবে অখিল স্পষ্ট জানালেন, সোমবার পদত্যাগ করব। মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দেব। পদত্যাগ করে মানুষের পাশে থাকবো। তাজপুর সমুদ্র সৈকতে দোকান উচ্ছেদ করতে গিয়ে অখিল গিরির আক্রমণের মুখে পড়েন এক মহিলা ফরেস্ট অফিসার। সেই ঘটনা গড়ায় একেবারে প্রশাসনের সর্বোচ্চ স্তর পর্যন্ত। খোদ মুখ্যমন্ত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
তড়িঘড়ি পদত্যাগের নির্দেশ, বন দপ্তরের দুর্নীতি নিয়ে কি অভিযোগ অখিলের?
বোমা ফাটতে চলেছে The Diary of West Bengal!সিনেমায় মমতার উপর মুসলিম তোষণের অভিযোগ,কবে মুক্তি পাচ্ছে?
আর এরপরেই সুব্রত বক্সি ফোন করে অখিল গিরিকে পদত্যাগ করার নির্দেশ দেন। অখিল ঘোষণা করেন, পদত্যাগ করব, কিন্তু ক্ষমা চাওয়ার কোনো প্রশ্নই নেই। তাজপুরে দোকান উচ্ছেদ করতে গিয়ে মহিলা ফরেস্ট অফিসার মনীষা সাউ অখিল গিরির হুমকির মুখে পড়েন। যা নিয়ে তোলপাড় হয়েছে রাজ্য। এবার সেই সময় কারামন্ত্রীকে বলতে শোনা যায়, আপনাদের বন দপ্তরের কত দুর্নীতি আছে সব জানি। বন বিভাগের এই দুর্নীতির অভিযোগ তিনি বিধানসভায় ফাঁস করবেন বলে সেই সময় বলেছিলেন। এরপর বনমন্ত্রী বীরবাহা হাসদাকেও দেখা যায় অখিল গিরির ওই ব্যবহারের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন। কিন্তু বন দপ্তরের কোন দুর্নীতি ফাঁস করার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন অখিল?
অখিল গিরির স্পষ্ট কথা, পূর্ব মেদিনীপুরের শংকরপুরের জঙ্গলে এলাকায় যখন গাছগুলো শুকিয়ে যায়, সেগুলোকে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হয়। সরকারি ট্রেজারির টাকা সরকারি হিসেবে দেখায় না। এমন অনেক কাজকর্ম রয়েছে বনদপ্তরের। পঞ্চায়েতে বন দপ্তরের কাজের হিসাব রয়েছে। কিভাবে দুর্নীতি করেছেন, সাধারণ মানুষ এসে বলছেন, এবার আপনাদের কাজের খতিয়ান পঞ্চায়েত দেখবে। অখিলের কথায় স্পষ্ট হচ্ছে বন দপ্তরের দুর্নীতির যে অভিযোগের ব্যাপারে বলতে চেয়েছেন তিনি, তা হল বনাঞ্চলের গাছ চোরাকারবারিদের কাছে বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে। টাকার বিনিময়ে বনাঞ্চল সাফ করে দিয়ে স্থায়ী নির্মাণ করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ। আর বন দপ্তরের এই ফরেস্ট রেঞ্জার থেকে শুরু করে বিভিন্ন অফিসারের বিরুদ্ধে টাকা নিয়ে ওই সব অনুমতি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। বন দপ্তরের দুর্নীতি বিধানসভায় ফাঁস করার আগেই মমতার নির্দেশে মন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগ করতে হচ্ছে অখিল গিরিকে।