air-traffic-safety-incident

ব্যুরো নিউজ, ৩০ সেপ্টেম্বর :আরব সাগরের উপরে ৩৫ হাজার ফুট উচ্চতায় ঘটেছে এক গুরুতর ঘটনা। কাতার এয়ারওয়েজ এবং ইজরায়েলের এল আল বিমানের মধ্যে ব্যবধান ছিল মাত্র ৯.১ নটিক্যাল মাইল, যা আকাশে উড়তে থাকা দুই বিমানের জন্য অতি বিপজ্জনক। নিয়ম অনুযায়ী, দুটি বিমানের মধ্যে অন্তত ১০ মিনিটের ব্যবধান থাকা আবশ্যক। এ ধরনের ঘটনা আকাশে বিমান চলাচলের পরিভাষায় ‘এয়ারপ্রক্স’ হিসেবে পরিচিত। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ভারতের ‘এয়ারক্রাফ্ট অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো’ (AAIB)।

রানাঘাটের ১১২ ফুট দুর্গা প্রতিমা আনুমতি নিয়ে অনিশ্চয়তা

‘এয়ারক্রাফ্ট অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো’ তদন্ত করছে

কলকাতা মেট্রোতে তরুণীর নাচের রিল ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় তুলেছে বিতর্কের ঝড় 

এই ঘটনা ঘটে ২৪ মার্চ। প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্টে জানা যায়, কাতার এয়ারওয়েজের বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআর বিমান দোহা থেকে মলদ্বীপের দিকে যাচ্ছিল, আর এল আলের বোয়িং ৭৭৭-২০০ বিমান ইজরায়েল থেকে ব্যাঙ্ককের উদ্দেশ্যে উড়ছিল। এমন সংকটজনক পরিস্থিতিতে বিমানের সংঘর্ষের সম্ভাবনা বাড়ে, যদিও এখন পর্যন্ত তা ঘটেছে কি না, তা স্পষ্ট নয়।

‘এয়ারপ্রক্স’ তিন ধরনের হয়: প্রথমত, সংঘর্ষ হওয়ার গুরুতর ঝুঁকি থাকা, দ্বিতীয়ত, বিমানের নিরাপত্তার সঙ্গে আপোস করা, এবং তৃতীয়ত, সংঘর্ষের কোনো ঝুঁকি না থাকা। তবে এখানে উল্লেখযোগ্য যে উভয় বিমানই ভারতে আসছিল না।

নির্বাচনের আগে হরিয়ানা: রাহুলের সভায় ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ’ স্লোগান নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্ক

ভারতের ‘এয়ারক্রাফ্ট অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো’ তদন্ত করছে কারণ যে অঞ্চলে এই ঘটনা ঘটেছে, তা ‘মুম্বই ফ্লাইট ইনফরমেশন রিজিওন’-এর আওতাধীন। এই ঘটনায় যুক্ত দুই এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলারকে ডিউটি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে এবং তাদের পুনরায় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, কাতার এবং ইজরায়েলের বিমানের উড়ানের সময় ‘ট্রাফিক কলিশন অ্যাভয়ড্যান্স সিস্টেম’ থেকে কোনো সতর্কবার্তা পাঠানো হয়নি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যখন বিমানগুলি একে অপরের কাছে চলে আসে, তখন পাইলটদের সতর্কবার্তা পাঠানো হয়। এই ঘটনায় কীভাবে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হলো, তা নির্ধারণ করতে তদন্তের ফাইনাল রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।

 

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর