ব্যুরো নিউজ, ২ ডিসেম্বর : বায়ুদূষণের কারণে হৃদ্রোগের ঝুঁকি বাড়ছে একই সঙ্গে উচ্চ রক্তচাপ এবং কিডনির নানা জটিলতা তৈরি হতে পারে।গবেষকরা বলছেন দৈনিক প্রতি ঘনমিটার বাতাসে পিএম ১০ ও পিএম ২.৫-এর পরিমাণ ১০০ ও ৬০ মাইক্রোগ্রাম অতিক্রম করলে তা জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
ইভিএম নিয়ে কংগ্রেসের অভিযোগ, বিজেপির পালটা আক্রমণঃ ‘রাহুল-প্রিয়াঙ্কা পদত্যাগ করুন’
শীতকালে শহরগুলির বায়ু গুণগত মান অত্যন্ত খারাপ হয়ে যায়
পিএম ২.৫ (পার্টিকুলেট ম্যাটার) অত্যন্ত সূক্ষ্ম কণা যা সহজেই শ্বাসপ্রশ্বাসের সঙ্গে দেহে প্রবেশ করে এবং ফুসফুস, হার্ট ও মস্তিষ্কে ছড়িয়ে পড়ে। এই কণাগুলির মধ্যে থাকে কার্বন ও অন্যান্য দূষিত পদার্থ যা দীর্ঘদিন ধরে শরীরে প্রবাহিত হলে হৃদ্রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। শীতকালে বিশেষত ভারতের বড় শহরগুলির বায়ু গুণগত মান অত্যন্ত খারাপ হয়ে যায় যার কারণে এই ক্ষতিকর কণাগুলি বাতাসে ভেসে বেড়ায়। শীতের সময়ে বিশেষ করে ঢাকা বা কলকাতার মতো শহরে এই কণাগুলি সরাসরি হৃদ্পিণ্ডের রক্তনালির ক্ষতি করে রক্ত জমাট বাঁধার প্রবণতা সৃষ্টি করে এবং হৃদ্রোগের ঝুঁকি কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয়। বাতাসে দূষিত কণার মাত্রা বাড়লে শরীরে গ্যালেক্টিন প্রোটিনের পরিমাণও বাড়ে যা হৃৎপিণ্ডে গভীর ক্ষতি করতে পারে। একে ‘মায়োকার্ডিয়াল ফাইব্রোসিস’ বলা হয়। যা হৃদ্যন্ত্রের পেশিকে শক্ত এবং অপ্রচলিত করে ফেলে।
মুম্বইয়ে তৈরি হচ্ছে সিঙ্গাপুরের ধাঁচে একটি নতুন কাঠের পথ
বায়ুদূষণের কারণে হৃদ্রোগের আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে এবং হৃদ্যন্ত্রের রোগে মৃত্যুর হারও বেড়ে যাচ্ছে। চিকিৎসকেরা তাই পরামর্শ দিচ্ছেন বায়ুদূষণের থেকে বাঁচতে বাইরে গেলে মাস্ক পরা উচিত। এছাড়া, ঘরের বাতাসেও দূষিত কণা থাকতে পারে, তাই বাড়ির ভিতরের বাতাস বিশুদ্ধ রাখার জন্য এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করতে হবে। শিশু বা বয়স্করা যদি বাড়িতে থাকেন, তাহলে এ ব্যবস্থা আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে।