ব্যুরো নিউজ,১৫ অক্টোবর:সম্প্রতি আলিয়া ভাট একটি অনুষ্ঠানে এডিএইচডি নিয়ে মুখ খুলেছেন, যা অনেকের কাছেই নতুন। এডিএইচডি বলতে বোঝায় অ্যাটেনশন ডেফিসিট হাইপারঅ্যাক্টিভিটি ডিসঅর্ডার। এটি এমন একটি সমস্যা, যেখানে আক্রান্ত ব্যক্তি কোন কাজের প্রতি যথাযথ মনোযোগ দিতে পারেন না এবং সেই সঙ্গে তাদের মধ্যে অতিমাত্রায় তৎপরতার লক্ষণও দেখা যায়। যদিও সাধারণত এই সমস্যা শিশুদের মধ্যে বেশি দেখা যায়, তবে বড়দের মধ্যেও এটি হতে পারে।আলিয়া ভাট বলেছেন, তিনিও এডিএইচডি’র শিকার। শিশুদের মধ্যে এই সমস্যা অধিকাংশ সময় দেখা যায়, বিশেষ করে বয়ঃসন্ধির সময়। আমরা যেসব বাচ্চাদের ‘দুরন্ত’ বলি, তাদের মধ্যে অনেকে এডিএইচডি’তে আক্রান্ত হতে পারেন। এই শিশুদের পড়াশোনা বা অন্য কোনো কাজে মন বসাতে সমস্যা হয়। তাদের ধৈর্য ও মনোযোগ অন্যদের তুলনায় কম থাকে এবং তারা খুব দ্রুত কাজ করার চেষ্টা করে। এডিএইচডি বয়স্কদের মধ্যেও হতে পারে। একটি মার্কিন পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সেখানে ৮০ শতাংশেরও বেশি প্রাপ্তবয়স্ক এডিএইচডি’র শিকার। ভারতের মতো দেশে এই সমস্যা বাড়ছে, কিন্তু অনেকেই মনোবিদের কাছে যান না, তাই এই সমস্যা অজানা থেকেই যায়।
জুনিয়র ডাক্তারদের রাজভবন অভিযানঃ চার্জশিটের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ও হতাশা
এডিএইচডি’র কিছু সাধারণ লক্ষণ রয়েছে
- ঘন ঘন ভুলে যাওয়া: ব্যক্তি আগের পাঁচ মিনিটের কথা ভুলে যেতে পারেন,যেটা মূলত অন্যমনস্কতা বা মানসিক চাপের কারণে ঘটে।
- অতিরিক্ত মন দিয়ে কাজ করা: একজন ব্যক্তি কোনো কাজে এতটাই ডুবে যান যে, অন্যদিকে মন দিতে পারেন না।
- অতিরিক্ত চিন্তা করা: কোন একটি বিষয় নিয়ে অতিরিক্ত ভাবনা এবং উদ্বেগ দেখা যায়।
- অন্যমনস্ক হয়ে যাওয়া: কাজ করতে বসলে মন অন্যদিকে চলে যায়, যা কাজের প্রতি মনোযোগে ব্যাঘাত সৃষ্টি করে।
- টাইম ম্যানেজমেন্টের অভাব: সময় ঠিকমতো ব্যয় করতে না পারা এবং প্রায়ই শেষ মুহূর্তে তাড়াহুড়ো করে কাজ করা।
বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে দুষ্কৃতীদের হামলাঃ উদ্বেগ ও আতঙ্ক ছড়ালো যাত্রীদের মধ্যে
এডিএইচডি সম্পর্কে আরও সচেতনতা তৈরি হওয়া জরুরি, যাতে যারা এই সমস্যায় ভুগছেন, তারা সাহায্য পেতে পারেন এবং তাদের জীবনযাত্রা সহজতর করতে পারে।