UTTAR PRADESH

ব্যুরো নিউজ,১৯ এপ্রিলঃ উত্তরপ্রদেশের বদাউঁ জেলার এক চাঞ্চল্যকর ঘটনায় স্ত্রীর বিরুদ্ধে জামাইয়ের বাবার সঙ্গে পালানোর অভিযোগ তুলেছেন স্বামী। পেশায় ট্রাকচালক সুনীল কুমার বাড়ি না থাকাকালীন কীভাবে তার বাড়িতে সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল, তা জানতেই হতবাক তিনি। এই ঘটনাকে ঘিরে তীব্র আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে স্থানীয় মহলে।

শান্তির মুখোশে লুকানো উত্তেজনার আগুন: কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী?

 শ্বশুর ঘনিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলেন ছলের স্ত্রীর সঙ্গে!

সুনীল কুমার কাজের সূত্রে দীর্ঘদিন বাড়ির বাইরে থাকতেন। মাসে এক-দুবার বাড়ি ফিরলেও পরিবারের দায়িত্ব ও খরচ চালাতে কোনও ত্রুটি রাখতেন না। তাঁর ও মমতার চার সন্তান রয়েছে। বড় মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে ২০২২ সালে। আর সেই বিয়ের মাধ্যমেই বাড়িতে নিয়মিত যাতায়াত শুরু হয় শৈলেন্দ্র ওরফে বিল্লুর। তিনি মমতার বড় মেয়ের শ্বশুর।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কিছুদিন অপেক্ষার অনুরোধ,শুনলেন না কেন রাজ্যপাল?

প্রথমদিকে কেউ বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ করেননি। আত্মীয় হওয়ায় প্রতিবেশীরাও তেমনভাবে নজর দেননি। কিন্তু মাঝেমধ্যে গভীর রাতে শৈলেন্দ্রের আগমন এবং ভোরে চলে যাওয়ার ঘটনা নিয়ে ধীরে ধীরে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। সুনীলের ছেলে অভিযোগ করেছে, বাবার অনুপস্থিতিতে শৈলেন্দ্র যখন আসতেন, মা মমতা তাকে অন্য ঘরে পাঠিয়ে দিতেন। এই আচরণে সে ছোট হলেও অস্বাভাবিকতা টের পেয়েছিল। সেই সন্দেহই সত্যি হলো, যখন একদিন হঠাৎ করেই মা মমতা বাড়ি থেকে উধাও হয়ে যান। সঙ্গে নিয়ে গেছেন নগদ টাকা ও গয়নাগাটি।

চাকরি ফিরিয়ে না দিলে ‘গণ-আত্মহত্যা’ ও রাজনৈতিক দুর্বিপাকের হুমকি, মমতার বৈঠক বানচাল করতে প্রস্তুত চাকরিহারা!

সুনীল কুমার অবশেষে থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর দাবি, স্ত্রীর সঙ্গে পালিয়ে গেছেন শৈলেন্দ্র, যিনি তাঁর জামাইয়ের বাবা! এই সম্পর্ক ঘিরে এখন এলাকায় চলছে নানা আলোচনা। পুলিশ ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে এবং উধাও দুইজনকে খুঁজে বের করতে তৎপর। এই ঘটনা প্রমাণ করে, বিশ্বাসের ছলে পরিবারে কীভাবে সম্পর্কের সীমারেখা অতিক্রম করা যায়, আর তার ফল কতটা মারাত্মক হতে পারে। বদাউঁর এই ঘটনায় এখন শুধুই প্রশ্ন—মমতা ও শৈলেন্দ্র কোথায়, আর কেন এমন সিদ্ধান্ত?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর

বিশ্ব জুড়ে

গুরুত্বপূর্ণ খবর