ব্যুরো নিউজ, ৫ জুন: রাজনীতির ময়দানে প্রথম হলেও বিজেপি ভরসা রেখেছিল কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের উপর। তমলুক কেন্দ্র থেকে তাঁকে প্রার্থীও করেছিল গেরুয়া শিবির। লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির সেই ভরসার মান রাখলেন প্রাক্তন বিচারপতি। তমলুক কেন্দ্রটি তৃণমূলের কাছ থেকে একপ্রকার ছিনিয়ে নিয়ে সেই কেন্দ্র থেকে জয়লাভ করলেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
ভোট পরবর্তী হিংসা! মধ্যমগ্রামে দশ-বারোটি বাড়িতে ভাঙচুর
তমলুকে পদ্ম ফোটালেন অভিজিৎ
প্রথম থেকেই জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী ছিলেন বিজেপি প্রার্থী। ভোটের দিন সকাল থেকে ময়দানে নেমে পড়েছিলেন। কোথাও কোনও অভিযোগ পেলে ছুটে গিয়েছেন সেখানে। তাঁকে থেকে ‘চোর’ স্লোগানও দিয়েছে বিরোধী শিবিরের কর্মীরা। কিন্তু শেষ কথা বলল ভোটের ফলাফল। ভোটগণনার শুরু থেকেই তৃণমূলের দেবাংশু ভট্টাচার্য ও সিপিএমের সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়ের থেকে এগিয়ে ছিলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। দেখা যায় পোস্টাল ব্যালটে প্রায় ৬৭ হাজার ভোটে দেবাংশু ভট্টাচার্যকে পিছনে ফেলে এগিয়ে ছিলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। যদিও একবার অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে পিছনে ফেলে এগিয়ে গিয়েছিলেন তৃণমূলের তরুণ তুর্কি দেবাংশু ভট্টাচার্য। কিন্তু তারপরে আবার এগিয়ে যান বিজেপি প্রার্থী। শেষমেশ জয় ছিনিয়ে নেন প্রাক্তন বিচারপতি।
২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে তমলুক কেন্দ্র তৃণমূলের কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র ছিল। কারণ এই ২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে অধিকারী পরিবারের সঙ্গে ক্রমশ দূরত্ব তৈরি হতে থাকে তৃণমূলের। ফলে কাঁথি ও তমলুকের মতো অধিকারী গড়ে তৃণমূলের সাংগঠনিক শক্তিও দূর্বল হতে শুরু করে। এই পরিস্থিতিতে তমলুর কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের জয় নিশ্চিত করা একপ্রকার কঠিন হয়ে পড়ে। আর সেই কারণেই তৃণমূল ভরসা রেখেছিল তরুণ মুখ দেবাংশু ভট্টাচার্যের কাছে। কিন্তু অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের জনপ্রিয়তার কাছে দেবাংশু ভট্টাচার্যকে মুখ থুবড়ে পড়তে হয়েছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ।