ব্যুরো নিউজ,৭আগস্ট:কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে শুধুই বঞ্চনার অভিযোগ করে থাকে পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল সরকার। রাজ্য সরকারের পাশাপাশি তৃণমূল রাজনৈতিকভাবে বিভিন্ন সভা সমাবেশে গলা উঁচিয়ে কেন্দ্রের বঞ্চনার বিরুদ্ধে সরব হয়। লাগাতারভাবে প্রতিটি নির্বাচনের আগেই এই একটি বিষয় তুলে ধরে তৃণমূল। এবার লোকসভায় তৃণমূল সাংসদের প্রশ্নের উত্তরেই কেন্দ্রীয় সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের মন্ত্রী জবাব দিয়ে জানিয়ে দিলেন তৃণমূলের বঞ্চনার অভিযোগ একেবারেই ঠিক নয়।
সংসদে তৃণমূলের বঞ্চনার অভিযোগে জবাব দিলো কেন্দ্র
পদ্মাপাড়ে আক্রান্ত হিন্দু! মোমবাত্তিওয়ালা বুদ্ধিজীবীরা কোথায়….তথাগত রায়
লোকসভায় তৃণমূল সাংসদ মালা রায়ের একটি প্রশ্নের জবাবে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রশেখর পেম্মাসানি জানান, ২০২১- ২২ আর্থিক বছর থেকে ২০২৩-২৪ সালের মধ্যে বাংলায় প্রায় ১২ লক্ষ ৭৩ হাজার মানুষের জন্য বাড়ি মঞ্জুর করা হয়েছে। এই প্রকল্পে কেন্দ্রের বরাদ্দ টাকা হিসেবে রাজ্যের জন্য ৬৮৭.৮৪ কোটি টাকা মঞ্জুর হয়েছে। আর উল্টোদিকে রাজ্য সরকার এতদিন ধরে অভিযোগ করে এসেছে, আবাস যোজনায় ২০২২ এর নভেম্বরের পরে কেন্দ্রীয় সরকার টাকাই দেয়নি। রাজ্যের বকেয়া রয়েছে এই খাতে ৮৪১২ কোটি টাকা। কিন্তু লোকসভায় কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী তথ্য পরিসংখ্যান তুলে ধরে জানিয়ে দেন, রাজ্য সরকার আগের টাকা এবং কেন্দ্রের বরাদ্দ হিসেবে প্রদেয় টাকা, আর রাজ্যের ভাগ থেকে প্রায় ৬৬১২ কোটি টাকা ইতিমধ্যে খরচ করেছে।
বাজার টালমাটাল,তলানিতে নামলো সোনা-রুপো,কিনবেন নাকি এক্ষুনি
এরপরেই ভুয়ো জব কার্ড প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক চলতি অধিবেশনে জানায়, ২০১৯-২০ থেকে চলতি বছরের ৩০ জুলাই পর্যন্ত বাংলায় ১০০ দিনের কাজে ২৪,০৫, ৮৫৯টি জব কার্ড বাতিল করা হয়েছে। এছাড়াও উত্তরপ্রদেশ, ওড়িশা, মধ্যপ্রদেশেও বহু জব কার্ড বাতিল হয়েছে। মন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে, ভুয়ো জব কার্ডের পাশাপাশি একই নামে একাধিক জব কার্ড, কোনো পরিবার কাজ করতে না চাইলেও জব কার্ড তৈরি করা হয়েছে। তাছাড়া জব কার্ডধারীর মৃত্যু হলে কার্ড বাতিল করা হয়। এই প্রসঙ্গে বিজেপি সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য বলেন, অন্যান্য রাজ্য সরকার কেন্দ্রীয় সরকারকে এই জব কার্ডের ক্ষেত্রে সহযোগিতা করেছে। আর সেখানে বাংলার সরকারের মদতে ভুয়ো জব কার্ড তৈরি হয়েছে।